পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মী বলিল, “প্ৰভু, এই দ্বাদশ বৎসর আমি সমস্তই ভুলিয়া ছিলাম। ঈশানীকে মধ্যে-মধ্যে দেখিতে আসিয়াছি ; কিন্তু আপনার কৃপায়, আপনার শিক্ষার গুণে, আপনি যে সকল কাৰ্য্যের ভার আমার উপর দিয়াছিলেন, তাহার গুরুত্বে ও মহত্ত্বে আমার গৰ্ভজাত সন্তান ও আমাকে আকৃষ্ট করিতে পারে নাই। আমি মনে করিয়াছিলাম, আমি মায়া-মোহ জয় করিয়াছি ; দশের সেবা ব্যতীত আমার জীবনে আর কোন কাজ নাই। কিন্তু প্ৰভু, আজ আমার সকল গৰ্ব্ব চুৰ্ণ হইয়াছে! ভুবন বাবুর বাড়ীতে বসিয়া যখন আমি ঈশানীর সম্বন্ধে সম্পূৰ্ণ ঔদাসীন্য দেখাইয়া কথা বলিলাম, তাহার পর মুহূৰ্ত্তেই আমার বুকের মধ্যে কেমন করিয়া উঠিল। আমি তখন ঈশানীর দিকে চাহিলাম। প্ৰভু, এমন ভাবে তা মেয়ের দিকে আমি কোন দিন চাহি নাই । সেই মুহূৰ্ত্তেই আমার মনে হইল, আমি ঈশানীর জননী ;-আমি তাহাকে পরিত্যাগ করিতে পারি না । সে যে আমারই বুক, চেরা ধন। আমার বুকের ভিতর তখন কেমন করিয়া উঠিল । যে মাতৃত্ব হইতে আমার সন্তানকে বঞ্চিত করিয়া আমি এতকাল কাটাইয়াছি, তাহ নিমিযে ভূমিসাৎ হইয়া গেল। আমার ইচ্ছা ইতে লাগিল, ঈশানীকে আমি বুকে চাপিয়া ধরি,—তারস্বরে বলি —ও-র তুই আমার সন্তান ! তুই আমার ! যে স্নেহ-মমতাকে আপনি বিশ্বময় সম্প্রসারিত করিবার জন্য এত শিক্ষা দিলেন, তাহত যে আমার থাকে না। এ কি করিলেন প্ৰভু !” । সঃ) সী। গম্ভীরভাবে লক্ষ্মীর কথা শুনিতেছিলেন । লক্ষ্মী যখন 乏 PROČ