পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পড়িয়াছে,— গল্প লিখিবার ‘আর্ট” না জানার এই প্ৰধান দোষ ! যাক, এখন বক্তব্য কাহিনীর অনুসরণ করা যাউক । কাঞ্চনপুরে অনেকগুলি নিষ্কৰ্ম্ম যুবক ছিল। তাহাদের কথা পূর্বেই বলিয়াছি। তাহদের কাহারও কাহারও কু-দৃষ্টি লক্ষ্মীর উপর পতিত হইয়াছিল ; কিন্তু কেহই সাহস করিয়া লক্ষ্মীর সম্মুখীন হইতে পারে নাই। সকলেই বুঝিয়াছিল, এ মেয়ের শরীরে হস্তার্পণ করা, বা তাহাকে কোনপ্রকারে লুব্ধ করা অসাধ্য ব্যাপার। লক্ষ্মী গৃহকৰ্ম্ম করিত ; অবসর সময়ে হয় পিতার নিকট বসিয়া শাস্ত্রের কথা শুনিত, পিতার সহিত নানা বিষয়ের আলোচনা করিত ; কখনও বা মা ও কাকীর সহিত গল্প করিত ; বিশেষ আবশ্যক ব্যতীত কখনও বাড়ীর হির হইত না । বিবাহ সম্বন্ধে সে একেবারে নিশ্চিন্ত হইয়াছিল । তাহার মনে কি হইত, তাহা ভগবানই জানেন ; কিন্তু বাহিরে কোন প্রকার চাঞ্চল্য প্ৰকাশ করিত না। কুলীন ণর গৃহে জন্মগ্রহণ করিলে যাহা অনেক সময়েই অপরিহাৰ্য্য, তাহার জন্য দুঃখ করিয়া কি হইবে ? তাহাকে চিরজীবন কুমারী অবস্থাতেই যাপন করিতে হইবে, এ কথা সে বেশ বুঝিতে পারিয়াছিল। তাহার জীবন যে পিতামাতার সেবাতেই অতিবাহন করিতে হইবে, বিধাতা যে তাহার অদৃষ্ট দাম্পত্য-সুখভোগ লেখেন নাই, তাহা সে বেশ বুঝিতে পারিয়াছিল,—গ্রামে ও সে অনেক রমণীকে এই অনাদৃত জীবন অতি কষ্টে বহন করিতে দেখিয়াছে। বরঞ্চ তাহার সমশ্রেণীর ব ব্ৰাহ্মাণে 8