পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিলেই বাড়ীখানির মধ্যে প্ৰবেশলাভ ? দুঃসাধ্য হইয়া পড়ে,- পল্লীগ্রামে গৃহস্থের বাড়ী তেমন আঁটাসােটা প্ৰায়ই থাকে না । যাহারা সম্পন্নব্যক্তি, তঁহাদের বাড়ীঘর প্রাচীর-বেষ্টিত থাকে, এবং তাঁহাতে প্ৰবেশ করাও সহজসাধ্য নহে; কিন্তু গরীব গৃহস্থের বাড়ীতে সদর অন্দর থাকিলেও এদিক ওদিক দিয়া অনায়াসেই বাড়ীতে প্ৰবেশ করা যায়। গরীব গৃহস্থেরা এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন ও তেমন অনুভব করে না । বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়দিগের বাড়ীও অনেকটা সেই রকম ছিল । বহিঃপ্রাঙ্গণ হইতে ভিতরের প্রাঙ্গণে আসিতে হইলে একটা দ্বার অতিক্ৰম করিতে হইত ; সেই দ্বার বন্ধ করিলেই যে অন্তঃপুর একেবারে আবদ্ধ হইত,তাহা নহে ; আনােচ-কানাচ দিয়া অনায়াসেই বাড়ীর মধ্যে প্ৰবেশ করা সাইত । ভিতর বাড়ীতে তিনখানি শয়নের ঘর। তাহার একখানিতে ছোট কৰ্ত্তা হরেকৃষ্ণ সস্ত্রীক থাকিতেন ; আর একখানিতে এক পাশ্বে বড় কৰ্ত্তা শয়ন ঘকরিতেন, এবং দ্বিতীয় বিছানায় লক্ষ্মী মায়ের কাছে থাকিত। অপর ঘরখানিতে কেহ শয়ন করিত না ; জিনিষপত্ৰ থাকিত । রাত্ৰিতে সেখানি চাবিবন্ধ থাকিত । ইতিমধ্যে এক দিন রাত্রি যখন এগারটা কি বারটা, তখন লক্ষ্মী বিছানা হইতে উঠিয়া বাহিরে গেল ; বড় গিল্পীর তখন নিদ্রার ঘোর, তবুও তিনি বুঝিতে পারিলেন যে, মেয়ে বাহিরে গেল। সকলেই এমন ভাবে রাত্ৰিতে দুই একবার উঠিয়া থাকে। প্ৰায় একযণটা পরে বড় গিনীর ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। অন্ধকারের থ y