পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( লক্ষ্মী ক্রমেই দুর্বল হইয়া পড়িতেছে, দেখিয়া তাহার পিতামাতা, কাক কাকী সকলেই বিশেষ ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন । এমন ভাবে বিনা চিকিৎসায় ফেলিয়া রাখিলে লক্ষ্মী যে আর বঁচিবে না-এ কথা বাড়ীর সকলে কেন, প্ৰতিবেশীরাও বলিতে লাগিলেন। কিন্তু রোগের কারণ যে মনে, তাহা বুঝিতে ঘরের কাহারও বাকী ছিল না। সে রোগের ঔষধ এক মৃত্যুঞ্জয় ছাড়া আর কে দিতে পারেন ? অনেক আলোচনার পর স্থির হইল যে, ডাক্তার ডাকিয়া কাজ নাই, কবিরাজ দ্বারাই একবার লক্ষ্মীকে দেখান যাউক । কবিরাজ মহাশয়কে মোটামুটি শরীরের দুৰ্ব্বলতার কথাই বলা হইবে, অন্য কোন তথ্যই দেওয়া হইবে না ; তাহাতে চিকিৎসা যতদূর হয় হউক । গ্রামেই একজন কবিরাজ ছিলেন ; তাহার শাস্ত্ৰজ্ঞান তত ছিল না, কিন্তু বহুদিন চিকিৎসা করিয়া, অনেক রোগী দেখিয়া তাহার বহুদৰ্শিতা জন্মিয়াছিল। কবিরাজ মহাশয় বয়সে প্রাচীন, নাম শ্ৰীবত্ত গঙ্গাধর কবি-চিন্তামণি । কাঞ্চনপুর ও নিকটবৰ্ত্তী কয়েকখানি গ্রামের লোকেরা তাহাকে মণি কবিরাজ মশাই বলিত । ফ্রারোরুষঃ এক দিন প্ৰাতঃকালে কবিরাজ মহাশয়ের বাড়ীতে wo