পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. : " স্থা, স্কিন্ট্রীলোকু ঠিক নির্ণয় করিতে পারেন-- বসিলেন। সৰ্ব্বনাশ হইয়াছে ! এ রোগের কথা তিনি কেমন করিয়া তাহার স্বামী বা দেবরকে বলিবেন। কবিরাজ কি বুঝিয়াছেন, তিনিই জানেন ; অথবা তিনি সত্যসত্যই রোগ ধরিতে পারেন নাই ; কিন্তু লক্ষ্মীর মা ঠিক রোগ ধরিয়াছেন ;-লক্ষ্মী శక్తి হইয়াছে; পুরুষে এরোগের মঞ্চ-সমাজ-ধরিতে পারে। বড় গিন্নীর মস্তকে বজাঘাত হইলেও তিনি এত বিচলিত হইতেন না। এখন উপায় ? জাতি গেল, মানসন্ত্রম গেল, লোকের কাছে যে মুখ দেখান যাইবে না। বন্দ্যোপাধ্যায় বংশের মুখে যে চূণ-কালী পড়িল। দুই তিন দিন বড় গিামী অনেক চিন্তা করিলেন, কিন্তু কোন উপায়ই দেখিলেন না। অবশেষে তিনি আর চুপ থাকিতে পারিলেন না। ;-সকল দিক কেমন করিয়া রক্ষা পাইবে, তাহা ভাবিয়া না পাইয়া একদিন হরেকৃষ্ণকে নির্জনে ডাকিয়া কঁদিতে কঁাদিতে বলিলেন, “ঠাকুরপো, জাত মান সব যে যায়।” হরেকৃষ্ণ বড় গিন্নীর কথা কিছুই বুঝিতে পারিলেন না ; তঁহার মনে ভয়ের সঞ্চার হইল। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “বড় বীে, তুমি কঁাদ কেন ? কি হয়েছে তাই বল ?? জাত মান যায়-এ কথার ত কোন অর্থ বুঝিতে পারিলাম না।” বড় গিন্নী বলিলেন, “তোমার কাছে আর লুকিয়ে কি করব ঠাকুরপো। সৰ্ব্বনাশ হয়েছে—সব গেল। তোমরা ত মেয়ের অসুখ কি, তা ঠিক করতে পার নাই ; আমি বুঝেছি। লক্ষ্মী 2S گیری