পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীরবে আশ্রমোচন করিতে লাগিলেন। এই ভাবে প্ৰায় দশ মিনিট অতীত হইয়া গেল। অবশেষে হৃদয়ে অমানুষী বল সংগ্ৰহ করিয়া দৃঢ়স্বরে বড় কৰ্ত্তা । বলিলেন, “হরি, তোমাকে কিছু স্থির করিতে হইবে না। আমিই মোহাবিষ্ট হইয়াছিলাম। কি কৰ্ত্তব্য, আমিই বলিয়া দিতেছি। সন্তান-স্নেহে মুগ্ধ হুইয়া আমি পিতৃপুরুষের গৌরব নষ্ট করিতে পারিব না। ;- সে অধিকার তোমার আমার নাই। সমাজের কাছে আত্মবলি দিতেই হইবে-কাঞ্চনপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় বংশকে কলঙ্কিত করিতে পারিব না ভাই ! সমাজের চরণে কন্যাবলিই দিতে হইবে । ভগবান রামচন্দ্ৰ লোকাপবাদ-ভয়ে প্ৰাণপ্রিয়া জানকীকে নিৰ্ম্মলচরিত্রা জানিয়াও বনে বিসর্জন দিয়াছিলেন, তাহা ত জুন। সেই হিন্দুকুলে জন্মগ্রহণ করিয়া, সেই রামচন্দ্রের কথা মনে করিয়া আমরাও আমাদের প্রাণ অপেক্ষ প্রিয় একমাত্ৰ কন্যাকে বনবাসে দিব-সমাজের ভয়ে-সমাজের মুখ চাহিয়াই এ কাজ করিতে হইবে। দয়া-মায়া বিসর্জন দিতেই হইবে। সৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিতে পারি, পিতৃপিতামহের দেশপূজ্য ংশে কলঙ্কারোপ করিতে পারি না । লক্ষ্মীকে পরিত্যাগ করিতেই হইবে। সে যখন সমাজের দিকে চাহিবে না, আমাদের মান-সন্ত্রমের দিকে চাহিবে না, তখন তাহাকে পরিত্যাগ করা ব্যতীত গত্যন্তর নাই। মনে করিও না ভাই, লক্ষ্মীকে আমি দোষ দিতেছি। সে যাহা বুঝিয়াছে, তাহা ঠিকই বুঝিয়াছে ; পাপে লিপ্ত সে হইতে চাহে না । কিন্তু আমরা ত তাহ পারি G8