পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীন প্রস্তাবে তাহার হৃদয় বিদ্রোহী হইয়া উঠিল। তিনি কাতরভাবে বলিলেন, “যে সমাজ-রক্ষার জন্য, যে মান-সন্ত্রম বাঁচাবার জন্য এত গৰ্হিত কাজ করতে হবে, এত মিথ্যা, ছল, প্ৰবঞ্চনার আশ্রয় নিতে হবে, সে সমাজ, সে মান-সন্ত্রম কি এত স্মৃহিণীয় til f” “হা, স্মৃহিণীয়। যতদিন সমাজে বাস করতে চাইবে, ততদিন এই সবই করতে হবে। তুমি একা এ কাজ করছ না, তোমার পূর্বে অনেকে করেছেন,-“এখনও কতজন করছেন।” হরেকৃষ্ণ কাতর ভাবে বলিলেন “দাদা, অপরাধ নেবেন না । এতকালের মধ্যে কোন দিন। আপনার অবাধ্য হই নাই ; যখন যা আদেশ করেছেন, পালন করেছি। কোন দিন। আপনি কোন অন্যায়, অনুচিত আদেশ করেছেন বলে মনে পড়ে না । কিন্তু আজ। আপনার এ আদেশ আমার কাছে অন্যায়, অসঙ্গত,- যদি অপরাধ না নেন, তবে বলি-নৃশংস বলে মনে হচ্চে। এ আদেশ পালন করতে আমার মন অগ্রসর হচ্চে না । আপনি এতকাল আমাকে যে শিক্ষা দিয়ে এসেছেন, যে উপদেশ দিয়ে এসেছেন, যে কৰ্ত্তব্য পালন করবার জন্য আদেশ করেছেন, আপনার আজ-- কার আদেশের সঙ্গে তার কোনই সামঞ্জস্য নাই। এমন কঠোর বিধান যে আপনার মত জ্ঞানী, ধৰ্ম্মপরায়ণ দেবতার মুখ দিয়ে বের হবে, এ কথা আমি কোনদিন স্বপ্নেও ভাবি নাই। আপনার সম্মুখে এত কথা আমি কোন দিন বলি নাই ; কিন্তু আজ প্ৰাণের আবেগে বলিয়া ফেলিলাম। আমি আপনার এ আদেশ পালন করতে একেবারে অসমর্থ।” GV)