পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখ, হরি, গোলোক কারকে ভাল করে একখানা চিঠি লিখে দিও, সে যেন অবশ্য অবশ্য একবার দেখা করে যায়। তার উপর অনেক ভার দিয়ে যেতে হবে।” যখন এই সকল কথাবার্তা হইতেছে, তখন আরও দুই চারি জন গ্ৰামস্থ লোক আসিলেন। স্বরূপ চক্ৰবৰ্ত্তী বলিলেন, “রাম দাদা, তুমি সত্যই কাশী চললে। আর কিছু দিন পরে গেলেই হোতে। গ্রামের অবস্থা ত দেখছি ; তোমরা দুচারজন আছ, তাই এখনও গ্রামের শ্ৰী আছে। তা তুমি কি একেবারে বাস করবার জন্যই যাচ্ছি, না তীৰ্থ করেই ফিরে আসবে। মেয়েটার বিবাহ শেষ করে একেবারে নিশ্চিন্ত হয়ে গেলেই পারতে।” বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “সে বাবা বিশ্বনাথের ইচ্ছে ; তিনি যদি দয়া করে স্থান দেন, তা হলে ঐ চরণ তলে পড়ে থাকব। মেয়ের বিয়ের ত কোন কিছুই করে উঠতে পারলাম না ; তাই তাকে সঙ্গে নিয়েই যাচ্ছি ; দেখি কাশীতে যদি কিছু করতে পারি।” স্বরূপ বলিলেন, “তা হলে লক্ষ্মীকেও সঙ্গে নিয়ে যােচ্ছ ; আমি মনে করেছিলাম, তাকে রেখে যাবে।” মধু ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন, “একলা বৌমা কি করে যাবেন; মেয়েটা কাছে থাকলে অনেক সুবিধে হবে, আরাম ব্যারাম আছে ত ” হরেকৃষ্ণ বলিলেন, “লক্ষ্মীর শরীর বড় খারাপ হয়েছে, ডাক্তার কবিরাজ ত কিছুই করতে পারল না ; তঁরাই বললেন স্থান Nსტ8