আমাদের ছেড়ে আপনাদের সঙ্গে যেতে পারবেন না । বিদেশে সেবার কষ্ট হবে। আমরা যদি সঙ্গে থাকি, তা হলে সেবা যাতে হয়, তার জন্য প্ৰাণপণে চেষ্টা করতে পারতাম। এই যা আপত্তি ।” “না গােলোক, তুমি সে আপত্তি কোরো না। দেখ, তােমাকে বিশেষ করে আসতে লিখেছিলাম কেন জান ? আমার শিষ্যদের মধ্যে তুমিই ভগবানের আশীৰ্ব্বাদে ভাগ্যবান হয়েছ। হরেকৃষ্ণ এখনও সংসারের কিছুই জানে না ; দাদার আড়ালে থেকেই সে এতদিন কাটিয়েছে। তাকে আমি তোমার হাতে সমৰ্পণ করে যাচ্ছি। তুমি সৰ্ব্বদা তার উপর দৃষ্টি রেখে ; বিপদ-আপদে মাথা দিয়ে দাড়িও ; তার যাতে কোন কষ্ট না হয়, সে তোমাকেই দেখতে হবে। যাতে তার সব দিকে ভাল হয়, তা তোমাকেই করতে হবে। সে যাতে সব ভার বইতে পারে, তার উপযুক্ত তাকে করে দিতে হবে । আর-” গোলোক বাধা দিয়া বলিলেন, “ঠাকুর মহাশয়, এ সংসার ছোট-ঠাকুর মহাশয় ঐকা বইবেন কি করে ? আমাকেও ত সংসারের কিছু ভার দিলে পারতেন।” বড় কৰ্ত্ত হাসিয়া বলিলেন, “তোমার উপর যে গুরুতর ভার দিয়ে যাচ্ছি গোলোক ! তোমার গুরুবংশের মান-সন্ত্রম, ভরণপোষণ সমস্ত ভারই যে তোমার উপর রইল।” “না, ঠাকুর মহাশয়, আপনি ত কোন ভারই আমাকে দিলেন না । এই ত এতকাল দেখে আসছি ; কোন দিন ত এ কথা বলতে শুনলাম না, ‘গোলোক, আমার এই অভাব হয়েছে, তুমি Ve