পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করব কেন ? আমার না হয়। দুটো পয়সা আছে, কিন্তু ভক্তিতে এরা আমার চাইতে কম নন ! কি বলেন ? দাদার দিকে চাইতে স্বৰ্গীয় গুরুঠাকুর ( গোলোক তাহার উদ্দেশে করযোড়ে প্ৰণাম করিলেন)। যখন ওঁকে নিয়ে আমাদের বাড়ী পদধূলি দিতেন, তখন উনি এই আঠারো উনিশ বছরের ছেলে ; আমার বয়স তখন আর কত-এই তেইশ চব্বিশ। তখন থেকেই দেখে আসছি, ওঁর লোভ বলে কিছু নেই। আর এতকাল তাই দেখলাম। ঐ পায়ের ধূলোর জোরেই ত গোলোক কর পাঁচ টাকার মুহুরিগিরি থেকে এত বিষয়-আশয় করেছে। ওঁকে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না। উনি ত সব মায়া কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন ; এখন আপনাতে- আমাতে কথা, কি বল রামকুমার দাদা ।” রামকুমার দত্ত বলিলেন, “সে ত ঠিক কথা ।” শিরোমণি বসু বলিলেন, “কর মশাই, ছোটঠাকুর আবার বড় ঠাকুর মশাইয়ের বাড়া। শুনবেন ওঁর কীৰ্ত্তির কথা। এই বছর তিনেক আগে একবার উনি আমার বাড়ীতে পায়ের ধূলো দিয়েছিলেন । আমি মনে করলাম, কাল শুদ্ধ আছে, পুত্র-পুত্রবধর মন্ত্র নেওয়াটা সেরে নিই। তারই আয়োজন করলাম ! অবস্থা ত ভাল নয় ; কোন রকমে কাজ শেষ করলাম। দিলাম অতি সামান্যই ; এই খান-তোর-চোদ ছোট-বড়, অতি কম দামের কাপড় ; বাসনপত্র ও তেমনি; আর প্রণামী বুঝি গােটা ত্রিশেক টাকা। উনি তাতেই মহা সন্তুষ্ট। আরও অনেকের গুরু ত o