পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখেছি। ওরে বাবা, কি তেজ, কিছুই তঁদের মনে ধরে না। যাক সে কথা। ফিরবার পূর্ব দিন রাত্রে বললেন, কাল সকালে আহারান্তেই যাত্রা করব। তাই ঠিক হোলো। সকালে সঙ্গের লোকটিকে জিনিষপত্রগুলো বুঝিয়ে বেঁধে-ছেদে দিলাম। উনি প্ৰাতঃকালে গ্রামের মধ্যে বেড়াতে গিয়েছিলেন । ফিরে এসে বললেন ‘বোস দাদা, আজ আর আমার যাওয়া হবে না, কাল খুব ভোরে যাব।” শুনে আমি খুবই সন্তুষ্ট হলাম। বিকেল বেলা দেখি, সঙ্গের লোকটীর মাথায় কাপড়ের মোট দিয়ে ঠাকুর বাইরে যাচ্ছেন। আমি বললাম “ও ঠাকুর ভাই, এই না বললেন, কা’ল সকালে যাবো, আবার এখনই না ব’লে-কয়ে যে চলেছেন।” উনি হেসেই বল্লেন ‘না, যাচ্ছিনে, একটু বেড়িয়ে আসি।” আমি বললাম “বেড়াতে যাবেন, তাতে কাপড়ের মোট সঙ্গে কেন ?” উনি বললেন ‘একটু দরকার আছে।” দরকারটা কি, তাই দেখবার জন্য আমি ও সঙ্গ নিলাম । আমাদের গায়ের পশ্চিম পাড়ায় অনেক দুঃগ্নী লোকের বাস ; তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনে এসেছিলেন । সেখানে গিয়ে করলেন কি, সকলকে ডেকে কাপড়গুলো বিলিয়ে দিলেন ; আর সঙ্গে যে টাকা ছিল, সব দিয়ে বাড়ী ফিরে এলেন। আমি ত অবাক ৷” রসিক পাল আর চুপ করিয়া থাকিতে পারিলেন না ; তিনি বলিলেন, “উনি ব’লে নয়, এ বাড়ীর সবাই সমান। সেবার আমার স্ত্রী এখানে এসেছিলেন। তিনি গিয়ে গল্প করলেন যে, বড়ঠাকুর মশাই ত কিছুই দেখেন না ; ছোটঠাকুর মশাই আর বড় ዓ >