পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--তাহার উত্তপ্ত মস্তক শীতল হইয়া গেল,-তাহার মস্তকে যেন শান্তিবারি বধিত হইল । এই সময় বারান্দা হইতে অতি কোমল, কাতর স্বরে প্রশ্ন হইল, “মা লক্ষ্মী, জেগে আছিস মা !” “কাক ?” “হা মা” বলিয়া হরেকৃষ্ণ ঘরের মধ্যে প্ৰবেশ করিলেন ; ছোট-বীে তাড়াতাড়ি উঠিয়া একপার্শ্বে যাইয়া দাড়াইলেন। । হরেকৃষ্ণকে দেখিয়া লক্ষ্মা দাড়াইতে গেল ; তিনি বলিলেন, “না মা, উঠিসনে। কাল সকালে ত তোকে ভাল করে দেখতে পাব না ; একটা কথা ও বলতে পারব না ; তাই এখন এলাম । মা লক্ষ্মী, এতদিন বুকে করে তোকে পালন করে শেষে বিসর্জন দিতে যাচ্ছি ম৷ ” হরেকৃষ্ণ আর কথা বলিতে পারিলেন না, বালকের মত কাদিয়া উঠিলেন । লক্ষ্মী তারেকৃষ্ণের পা দুখানি জড়াইয়া ধরিয়া সুধু বলিল, “কাক ?” হরেকৃষ্ণ কঁাদিতে-কঁাদিতে বলিলেন, “আর কাকা বলে ডাকি সনে মা ! আমি তোর কােকা নই। আমরা তোর কেউ নই। মা ! সমাজের ভয়ে তোকে বনবাসে দিতে यष् ि• !' লক্ষ্মী প্ৰাণপণ শক্তিতে কি বলিতে যাইতেছিল ; কিন্তু তাহার মুখ দিয়া “কাকা” ব্যতীত আর একটী কথাও বাহির ঠাইল না । যে লক্ষ্মী এতক্ষণ তাহার কাকীমার সহিত এত tre