পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ನಿ!” s মূলে কোন দোষ নাই ভাল বটে মূল। মুলে যে নিপাত করে তারে দেয় মূল । মুলকের কাছে কিছু অমূলক নাই। মূলকের মূল বুঝে মূল রাখ ভাই । প্রাচীনার স্তন সম অঙ্গের ধরণ। বোট সরু মোটা সুখ বিমল বরণ ॥ কখনো মাচায় বাস কভু বাস চালে। বৃক্ষের উপরে উঠে যুক্ত হয়ে ডালে ৷ বড় বড় ধনীলোক জন্ম দিয়া হাতে। যত্ন করি স্থান দেন তেতালার ছাতে ॥ পড়িয়া চাষার হাতে তুষ্ট নহে মন। অভিমানে করে তাই মাটীতে শয়ন ॥ সীতার শ্বশুর যিনি দশরথ ভূপ। তার সঙ্গে গলাগলি ভাব অপরূপ ৷ চিঙ্গড়ীর সহ যোগ লাউ যদি করে। হাতে হাতে স্বর্গে ৰাই মুখে দিলে পরে ॥ মহাফল তুম্বী এই যদি হয় কচি। সুধা ফেলে ছুটে আসে বাসবের শচী ॥ কতই আনন্দ বাড়ে আহারের বেলা । ডাটা খোসা আদি কিছু নাহি যায় ফেলা ॥ ভাতে কিম্বা ঝোলে ডাটা যুক্ত হলে মাছে। তেমন সুখাদ্য আর জগতে কি আছে ? নিরামিষ লাউ লাগে সুধার সমান। অম্বলে গুড়ের সহ অতিশয় মান ॥ ভেদকর কফকর হিম কিছু বটে। পিত্তহর কেহ নাই ইহার নিকটে ৷ একমুখে কি কহিব কত গুণ ধরে । শুকাইয়া বচ’ হয়ে কাস নাশ করে। যোগী ঋষি সকলের অল্পের আধার। যেখানে সেখানে যান তুম্ব করি সার ॥ জেলে মালা যতনেতে করিয়া গ্রহণ । জালে জুড়ে মুখে করে জীবিকা-সাধন ॥ তানপুরা বীণাযন্ত্ৰ মধুর সেতার। এই লাউ হইয়াছে সৰ্ব্বমূলtধার ॥ ৮ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তেম গুস্থাবলী । শিব হইলেন সিদ্ধ গীত-আলাপনে। নারদ ত্রিলোকপূজ্য বীণার সাধনে ॥ দেখ দেখ কেমন মহৎ এই ফল । এ ফল যে ধরে তার সকলি সফল ॥ মনোহর ফুলকপি পাতাযুক্ত তায় । সাটিনের কাবা ৰেন বাবুদের গায়। শ্রেণীবদ্ধ চারু শোভা এলো আর বtধt। সাহেৰেরা প্রেমডোরে চিরকাল বাধা ॥ রন্ধনেতে তার সঙ্গে যুক্ত হলে কই ? যত পাই তত থাই আরো বলি কই ? ঘৃণার স্বভাবে যেই নাহি খায় কপি । তারে কি মানুষ বলি নিজে সেই কপি ॥ কপির সকলি গুণ দোষ কিছু নাই । তাতেই আমোদ বাড়ে যেরূপেতে খাই 1. বহুবিধ শাকবৃক্ষে শোভা করে পাতা। ইন্দ্রের সভায় যেন মছলন্দ পাতা । পেটে দেয়া দূরে থাক দেখে তুষ্ট আঁখি। ইচ্ছা হয় পালঙেরে পালঙেতে রাঞ্চি অল্প ভাগ কটু আর মধুর সকল । রক্তপিত্ত নাশ করে সুপথ্য শীতল ৷ বিট নামে পালঙ কি মহাত্রব্য তিনি। ৰিলাতে তাহার রসে হইতেছে চিনি ॥ চুখায় চুখায় মুখ মুখ কব কত ? ' হাতে হাতে উঠে যায় পাতে পড়ে যত ॥ অতি সন্ন উন্দ করে অগ্নির প্রকাশ। শূল গুল্ম আম বাত শ্লেষ্মা করে নাশ । অপরূপ বস্তু এক মৃদ্ধিকার নীচে । গাছ দেখে ৰোধ হয় সমুদয় হিছে ! কচুর সমাজে তার অতিশয় মন - গুণ দেখে রসিকেতে নাম দিলে মান ॥ মানদাস বাবাজীর অভিমান নাই। পরিমাণে বাড়ে মান মানে দিলে ছাই॥ মাছের সহিত প্রেম যুক্ত হলে ঝোলে। একবার যে খেয়েছে সে কি আর তোলে ?