পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vঈশ্বরচন্স গুপ্তের গ্রন্থাবলী। "» •& ৰিমিশি “পিকা খায় জালিয়া অনলে। দাওপড়া বুড়া নাই উড়ের মহলে। কত সব নারী নর মোক্ত খায় পানে । স্বস্তু-মুখ, মুখ-মুথ তারা তাল জানে। ফুসে তিক্ত, ক্রিমি-কাস-রোগের নাশক। সততই রুচিকর অগ্নির দীপক। ওড় কের গুণ মুখে ব্যাখ্যা নাহি হয় । শোকহর প্রেমকর প্রিয় অতিশয় ॥ পুলকে পূরিত করে কবির হৃদয়। টানিতে টানিতে ভাবে ভাবের উদয় ॥ ভাব হয় অমুকুল বচন-রচনে । বত টানি টানাটানি নাহি হয় মনে ॥} বল করে বুদ্ধি করে করে পরিপাক। কেমনে ভুলিব আমি এমন তামাক ? যে করে লেখক হয়ে ভাবের প্রয়াস । মন খুলে হোক সেই গুড়কের দাস। কফ আমজর হরে শুদ্ধ করে মূথ । কৈানরূপে দুঃখ নাই সব দিকে মুখ ॥ গীতবাদ্য নৃত্য যারা করে আলোচন। তামাক তাদের পক্ষে পরম রতন ॥ এ তামাকে যে করিল এত গুণময় । তার প্রেমে মন আর প্রাণ কর লয় ॥ রজনী বেড়েছে শীতে ভোগের কারণে । অভয়ে আমিষ খাও হরষিত-মনে ॥ কয় মাস থাও মাস উদর ভরিয়া । যত পীর খাও মাছ যতন করিয়া । পরিপাক পাবে সব করিলে আহার। অমল রেছে জল ভাবনা কি আর : নিশিতে নিদ্রার আর কে করে ব্যাধাত । ,সুমে চোক্‌ পচে তৰু না হয় প্রভাত ॥ প্রাতে উঠে ঘুরে ফিরে ফিরে এলে ঘর। তখনি হইতে হয় ফুৰায় কাতর। মাস মাছ ডিম খাও রূচি বার হাতে। সকুলি কুশলষ্ণর স্কট আর ভাণ্ডে ॥ به او حس-0 : এই গীতে “হংসৰীজ” অতি মনোহর। ’ পাকে লঘু বাতহর বলবীৰ্যকর। রূপেতে মোহিত করে মহিমা অসীম। সৰ্ব্বদোষ নাশ করে এ হাসের ডিম ॥ সিদ্ধ খাও তাজা খাও সব দিকে হিত। ব্যঞ্জন করিয়া খাও আলুর সহিত ॥ অতিশয় রুচিকর এ বীজের “দম”। গোটাকত খেতে হলে নিতে হয় দম। ঘূণায় যে নাহি খায় এ ছাসের ডিম। মরুকু সে চিরকাল খেয়ে তেতো নিম ৷ বৃথায় রসনা তার বৃথা তার মুখ। কোনকালে নাহি পায় আহারের মুখ ॥ ডিমভরা কাকড় এ শিশির সময় ১ আহারেতে উপাদেয় অতি স্বধাময় ॥ সে ডিমের গুণ আমি কি কব বদনে ? মোহিত হয়েছে মন লোহিত বরণে ॥ ডিম খাও সাস খাও খোসা দেও ফেলে। বল করে বায়ু হরে পিত্ত হরে খেলে। বিশেষ রয়েছে গুণ কাকড়ার মাসে । হাড়েতে জন্মিলে দোষ সেই দোষ নাশে। যেরূপে রাধিয়া খাও উপকার হয়। অলাৰুর সহ তার অধিক প্রণয় ॥ ভাগ্য যার ভাল সেই খেয়ে গায় যশ । মৰ্কট জানিবে কি সে কর্কটের রস ? জলের ভিতরে মাছ কত রসভরা। দাড়ী গোপ জটাধারী জামাঘোড়া পর |l} শিরে অসি কাটাহীন গন্ধ নাই গায়। আগা গোড়া মধুমাথা মধু তার পায়। বিশেষতঃ শীতকালে অমৃতের খনি। আমিষের সভাপতি মীন-শিরোমণি ॥ গলদা চিঙড়ী মাছ নাম ষার মোচা। পড়েছে চরণতলে এলাইয়া কেঁচা । কালিয়ে পোলাগু রাধে রাধে লাউ দিয়৷ তাতে খাও ভেঙ্গে খাও হবে মুখপ্রিয় ॥