পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨રં ৮ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী। আছে তোলা গাছে ঝোল, বাতাসে খেতেছে . দেহ-ঘটে আত্ম রন, কিন্তু তিনি দেহু নন, দোলা, সচেতন অচেতন, মায়ার মায়ায় । 輸 গগনে ঘুরিয়া সব, এখন খেলায় । স্থিতি নাশ স্থিতি, সংসারের á之 রীতি, ভবিষ্যতে একদিন হবে তারা ভোগাধীন, কেমনে কহিব তবে, মলেই ফুরায় ? বিচার হইবে শেষ, বিঙুর সভায় ৷ কেমনে ঘুচিবে রোগ, ন হয় সুযোগ-যোগ, পুণ্যবান লোক যারা, চিরস্বর্গ পাবে তারা, নাশিতে কৰ্ম্মের ভোগ সম্ভোগ বাড়ায় । পাপী রবে চিরকাল নরক-বাসায় । ভোগেতে কি ভোগ ছাড়ে, কৰ্ম্মেতেই কৰ্ম্ম জন্ম এই হলো সবে, পরে নাহি জন্ম হবে, * বাড়ে, এই কথাটা স্থির করে, কে এসে শুনায় ! ; ঘুচাতে গায়ের মল, ধুলা মাখে গায় ৷ কৰে কোন নরলোক, গিয়ে সেই পবলোক, ঔযধ না খেলে পরে, শরীকে কি রোগ মরে, ফিরে আসিয়াছে পুন, পুরাতন কায় ? কুপথ্যে রোগের নাশ হোরেছ কোথায় ? পুৰ্ব্বজন্মে ছিল যাহা, প্রকাশ করিয়া তাহ, বিনা আলোকের ভাস, কিসে হবে তমোনাশ, কেবা সব হ্যুয়ের, সংশয় কাটায় ? অন্ধকার অন্ধকার, বে মনে সুচায় ? স্থির যার আছে মন, সেই করে নিরূপণ, কাটিতে দড়ার ফাস, অস্ত্রেী না করে আশ, কিছুমাত্র প্রয়োজন নাহি জিজ্ঞাসায় । স্থতা দিয়ে সেই “গ বল জড়ায়। জন্ম আর স্থিতি নাশ, স্বভাবেতে স্থপ্রকাশ, মিছে করি পরিশ্রম, কিছুই হলো না ক্রয় বারবার সাক্ষ্য দিয়ে, প্রমাণ দেখায়। ঘোচে ন মনের দম, তজ্ঞান-দশায় । { ভূতের না হয় ধ্বংস, ভূতে ভুক্ত ভূত-অংশ, মিথ্যায় সত্যের ভান, মনে নাহি পায় স্থান, সমবেত হয়ে ভূত শরীর গড়ায়। তত্ত্ব-নিরূপণ হয়, জ্ঞান-অবস্থায় । জড়দেহ ভূতময়, ভূতে হয় ভূতে লয়, “আমি” যদি “তুমি” ২ঠ, আমার বিনাশ সকলেই অভিভূত, ভূতের খেলায়। কই, ঘদি বলি, দেহ “জড়,” “চার্কাকেতে মারে এ কথাটী কারে কই, কে বলে আমায় ? । চড়,” ছিল শিব, হলে জীব, আছি জীব হব শিব, তখনি চেতন বোলে, হাঠী নিয়ে ধায় । এইরূপ জীব শিব, আমায় তোমায় । s ভক্তি-রথ টানে নাকে, পরকাল মানে নাকে, পাশভুক্ত হলে জীপ, পাশযুক্ত হলে শিব, তব তত্ত্ব জানে নাকে, আসিয়া ধরায় ৷ জীৰ ঘুচে শিব হব, কোথা সছুপায়। তব তৰী ধারা হয়, তাদেব পাগল কয়, যখন কাটিব ডোর, ঘুচে যাবে কৰ্ম্মঘোর, আনল নিবাতে চায়, তৃণের শাখায়। জীব ঘুচে শিব হব, সন্দেহ কি তায় ? তৃপ্ত নয় তত্ত্বরসে, রত সদা অপযশে, যে জীবেতে দয়াময়, তোমার না দয়া হয়, t লাস্তিক বলিয়া বসে, গায়ের জালায় । সেই জীব জীব রত্ন, শিবুং ন পায়। আত্মার শরীর ধর, বস্ত্র ছেড়ে বস্ত্র পর, তুমি কৃপা কর যারে, ত্রিতাপে তরাও তারে, জোক সব তৃণে তৃণে, যেমন বেড়ায় । সেই জীব একেবারে শিব হয়ে যায়। , প্রবৃত্তির বশ হয়ে, প্রাক্তানের ক্রিয়া লয়ে, ফলত তোমায় তাত, কিছু মাত্র নাছি হাত, দেহ-ঘরে ঢোকে জীব, তোমার ইচ্ছায় ॥ নিজ নিজ ভাগ্য ভোগ, করে সমুদায়।