পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qb" { { সে বড় বের কথা মুখ যত খেলে। { হাতে হাতে স্বৰ্গফল হাতে ফল পেলে ৷ কৃপণের কৰ্ম্ম নয় তোমায় আহার । ছাড়াবার দোষে সেই নাহি পায় জ্ঞার ॥ ডাটা বেঁটা নাহি বাছে মনে লোভ ঝেণকে ।

চোক্‌ শুদ্ধ খেয়ে ফেলে চোকখেকো লোকে ॥ ফলে আমি মিগ কেন নিন্দ করি,তায় ? সাধ পুরে বাদ দিতে বুক ফেটে হয়। ছাল ফেলে কাটি কিন্তু চক্ষু ভাসে ডলে । ভয় আছ লোকে পাছে চোক্‌খেকো বলে। লুণ মেখে লবুরস, রসে যুক্ত করি। চিন্ময়ী চৈতন্তরূপ। চিনি তায় ভরি ॥ টুকি টুকি খেলে পরে, রসে ভরে গাল। নেচে উঠে নন্দলাল, মুখে পড়ে লাল ॥ একবার যে জন মা, পায় তার তার । সে জন মানুষ নয় বৃথা জন্ম তার ॥ ছু ভাই প্রেমের প্রেমী ভ্রান্তিশীল যারা । তোমার নিগুঢ় রস নাহি পায় তারা। আস্বাদন নাহি জানে পেটভরা খোজে । , দুই হাতে থাবা মেরে, নাকে মুখে গোজে৷ রসে রত যেই সেই, রস করে পান। রসিক-রসনা তার যশ করে গাম । বর্ণশ্রেষ্ঠ পঞ্চবিংশ, তাহে অষ্টাদশ । দুই হলে এক যোগ ধরা করে বশ ॥ ! তার সহ আনারস ষোল আনা রস । রসে রসে মিশে গিয়ে মুখে গায় যশ ॥ বুঝহ রসিক জন রসবোধ যার। সে রসে যে অরসিক রস কোথা তার ? রসে রসে রস পেয়ে রসে মন রসে। নাহি জেনে মিছামিছি দোষ দেয় দশে ॥ চরকাল থেয়ে শুধু ছোলা আর আদা। শাদাচোখে মৃত্ত সব হয়ে যাক শাদ ॥ " নন্দনবনেতে ছিলি দেবরাজ-থিয়ে। । শচী ছেড়ে সুখে ইক্স ছিল তোরে নিয়ে ॥ vঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী { বাসবের অঙ্গে সদা করি আলিঙ্গন । পাইয়াছ সেইরূপ সহস্ৰ লোচন ॥ নানারূপ নবরূপ রসালাপ-যোগে । দেবগণে ফাকি দিয়া চলে ইক্ৰভোগে । দেবতার ইচ্ছা মনে করে সুখভোগ । কোনমতে না হইল সেই যোগাযোগ ॥ সুরকুল প্রতিকুল পেয়ে পরিতাপ। ক্রোধাকুল হয়ে শেষে দিলে অভিশাপ ॥ সেই উপসর্গে তুমি, ছেড়ে স্বৰ্গবাস। অভিমানে ম্ৰিয়মাণ বনে কর বাস ॥ আনারস নাম তাই এসে এই ক্ষিতি । লজ্জায় মলিন মুখ বনে কর স্থিতি ॥ সাধু সাধু সাধু বটে দেব পুরন্দর । তোমার শাপেতে হলে আমাদের বর। গোপন হইলে কিসে বনে করি বাস । লুকাবে কেমন করি শরীরের বাস। বাস পেয়ে পূৰ্ব্বকার বাস গেল জান, রস পেয়ে জানা গেল স্বর্গ থেকে আনা । নানা রস-শ্রেষ্ঠ তুমি তোমায় প্রশাম । জানা রস হয়ে পেলে আমারস নাম ॥ শচীর সপত্নী হয়ে সদা থাক শুচি । চোখে দেখা দূরে থাকৃ গন্ধে হয় রুচি। । অরুচির সূচি হয় মুখে দিলে পর। সাধ করে নিত্য খায়, বেচে বাড়ী-ঘর } তিনলোক জয় করে তব অস্বিাদন । বালকের কাছে তুমি জননীর স্তন। তোমার সমান কোথা আর নাহি জাছে। " মুবতী-মধরামৃত যুবকের কাছে। j হরিনাম-মৃধা তুমি বুদ্ধের নিকট । প্রকট-বদনে হামি,দেখিতে বিকট । ত্ৰিজগতে তব গুণে বাধ্য আছে সব ! ৰিন্দুরস পান করি প্রাণ পায় শব। অন্তে যেন এই হয় আমার কপালে।

গালে এসে বাস করে মরণের কালে W. (