পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী । বিধি-বিধিমতে, সতী পূজে সতে, মুখ দুখ নাহি মানে । , বিশেষ কি কব, জান তুমি সব, জগতে যে নারী সতী। . পতি বিনা তার, গতি নাই আর, যেমন কামের রতি ॥ দক্ষের তনয়, অম্বিকী অভয়া, প্রধানা-প্রকৃতি সতী । শিব শিবকয়, হর দুর্থহর, পশুপতি র্যার পতি ॥ সেই মহামায়া, মহাদেব-জায়,গ জীবনে না করি স্নেহ । পতি-নিন্দ শুনে, জলে কোপাগুনে, ত্যজিলেন নিজ দেহ ॥ এক সুধাকর, অতি মনোহর, শোভা করে নভোপরে । সুধার আধার, o ভবের অtধার, নাশ করে চারু করে ॥ চকোরীর মত, কত শত শত, নিয়ত ভজিছে তারে । বিনা এক চাদ, চকোরীর সাধ, *ং • আর কে পূরাতে পারে ? তাই প্রাণনাথ, ধরি ছুটী হাত, প্ৰণিপাত করি পদে । অধীনী বলিয়, করুণা করিয়া, আমারে রাখ হে পদে ॥ " আমি হই সতী, তুমি হও পতি, তোম বিনা গতি নাই। هم عمومی কপালে কি আছে, দুখ ঘটে পাছে, Q সামনে ভাৰি তাই। স্বরসিক-বর, দেহ দেহ বর, এই অভিলাষ করি। তোমারে বালি, ও মুখ দেখিয়া, আমি যেন আগে মরি। J or

  • Co. মামার অভাবে, স্বরূপ স্বভাৰ,

মিশাইয়৷ পাচ পাচে । তব উপকারে, হিত ব্যবহারে, থাকে যেন তার কাছে । যেই জলে প্রাণ, তুমি কর স্নান, সেই জলে মিশিবে জল । এই মনে আশ, যথা কর বাস, স্থল পাবে তথা স্থল ৷ বাতাসে বাতাস, হইয় প্রকাশ, লাগে যেন তব গায় । রূপের যে ভাগ, করি অনুরাগ, অণথি-পথে যেন ধায় { গগনে গগন, চারি দিক্ রবে ছেয়ে। চালিয়া চরণ, সতত দেখিবে চেয়ে ॥ তখন রমণীমণি বাকুল হইয়া । না পারে রাখিতে ভাব গোপন করিয়া ॥ হরিয়া মানের মান অপমান করে। রাখিতে পতির মান চারুভাব ধরে ॥ • ধীরে ধীরে পাশ ক্রিরে উঠিয়া বসিল । ক্রমে ক্রমে রুদনের বসন খুলিল । ভাবুকের মনে তার ভাব এই স্থির । ঘন হতে শশী ধন হতেছে বাহির ॥ থেকে থেকে আড়ে আড়ে করে বিলোকন পূর্ণ নহে প্রকটত নলিনী-নয়ন ॥ নয়নের ভাব দেখে বোধ হয় হেন। অৰ্দ্ধ-ফোটা পদ্মফুলু ঢুলিতেছে যেন। সমুদয় মুখখানি হইলে প্রকাশ। হলে তায় অপরূপ রূপের ৰিভস । তরুণী এরূপ ভাব ধরিল তরুণ । ঘনচ্ছিন্ন প্রাতে যেন উদয় অৱণ ॥ মুখচাদে বিন্দু বিন্দু ঘামবারি করে যেন বিধু মৃদু মৃদ্ধ সুধাবৃষ্টি করে । হইয়ু মগন, কৱিবে গমন,