পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 * বচনের বলিহারি হারি হইয়াছে। লমুখে কি যেতে পারি ও মুখের কাছে ? ' আমার হয়েছে প্রাণ হিন্তে বিপরীত। কেঁদেল করিয়া, সেধে কেঁদে কয় জিত ? তোমার কলের তাখি জলের অাৰtয় । সে জলের মঝে কত ছলের ব্যাপার। কেঁদে যদি জিতে যাও কে পরিবে তবে ? হাসিমুখে জাসি প্রাণ বাকামুখ কৰে ? সকলি আমার দোৰ দোষী আমি এক্ষা। তুমি কিছু জাননাকো হতে চাও নেক্ষণ । ভাজা ভাজা করিতেছে হাড় হলো কালী। এক হাতে কখনো কি বেজে থাকে তালি ? ভালরূপে জানিয়াছি ভাল ব্যৰস্থার । মিছে তুমি সতীপানা জানায়ে না আর ॥ জামায় কিনেছি আমি সিনেছি তোমারে । ৰ্যবহার শিখাইলে ৰিন ব্যৰস্থারে । মনের গোচর লৰ বার স্বত পাপ । ষার মনে যত ছল তার তত তাপ ৷ এখন সে সৰ কৰা লুকালে কি হৰে ? হাসিমুখে আসি প্রাণ বাকামুখ কবে ? কিছুতে নারীর মন নাছি হয় ৰশ । রমণীর কাছে নাই পুরুষের স্বশ ॥ আপপি করিয়া চুরি সাধু হয়ে রe। তোমার জেতের দোষ তুমি বোলে নও। সব দিকে বড় নারী স্বভাৰে সবলা । হায় হায়! কামিনীরে কে বলে অবলা ? মাখিয়া মধুর ছিটে মুখেয় উপরে। নাৰে কেঁদে কথা কোয়ে মাখা খুঁড়ে ময়ে। পেটের ভিতরে বিষ নাহি জানে কেউ। নিরস্তর খেলিতেছে সাগরের ঢেউ। s দেখে দেখে ঠেকে শিখে রয়েছি লাগবে ছাসিমুখে আসি প্রাণ বাকামুখ কৰে ? ৰদি কেউ গুণে থাকে সাগরের ঢেউ । পৃথিবীর সীমা যদি পেয়ে থাকে কেউ। “ঈশ্বরচন্দ্র প্তের এস্থাবলী । , যদি কেউ কোরে থাকে ৰাতাস বন্ধন। ধৰি কেউ কোরে থাকে জাকাশ খণ্ডল ॥ " নিরূপণ যদি করে আকাশের তারা। t নিরূপণ যদি করে জলদের ধারা ॥ এইরূপে যার চেয়ে ৰোগ্য জার নেই। নারীভাৰ-নিরূপণে পরাভব লেই ॥ এমন কি আছে কেউ রমণীরমণ ? স্থিয়ভাবে সে পেয়েছে রমণীর মন ? তোমার ও রবে প্রাণ নিকটে কে রবে ? ছাসিমুখে আসি প্রাণ বাকামুখ কৰে ? মনের ভিতরে বার গরিমা-গরল। সে নারী কেমনে হবে স্বভাৰে সয়ল ? দtলখক্ত লিখে দিয়া পড়ে যদি পাম । তথাচ নারীর মম পুরুষে কি পায় ? শিৰুের উপরে কোথা মন আছে তোলা । কৌশলে কছিছ কথা মনতোলা তোলা ॥ তোলামনে কহিতেছে কত মনতোলা। (s কিসে হবে খোলা মন কিসে হব ভোলা ? ঝোলাকুলি কোরে কত লুটিয়াছি ভূমি। একদিন খোলাখুলি করিলে না তুমি। জন্মের কথা কোলে ধৰ্ম্মে নাহি সবে। হাসিমুখে জালি প্রাণ বাক্ষামুখ কবে ? রাগ, ৰেথ অভিমান আয় অহঙ্কায় । এখনো রয়েছে যারা শরীরে ৫োমায় { সকলেই বলবান খাটাে কেহ নয়। সকল সময়ে তার করিছে প্রলয় ॥ ছলনা, চাতুৰী, আর কপটতা ভাব ! একাশে তোমার মনে প্রবল প্রভাৰ । ৰাপি যৌবনকাল বিদায় হয়েছে। তথাচ সে ঠাটখানি ৰজাৰু রয়েছে। আছে সেই সমুদয় পূৰ্ব্বকীয় ভাৰ। ঙ্কেয়েনি ঠমক্‌-ঠাট ফেরেনি স্বভাৰ ॥ তাদের জিঞ্জলি কর সাক্ষী দেবে সবে । হাসিমুখে আসি প্রাণ বাকীমুখ কৰে ?