পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী। ' ના এখন এ অহঙ্কার দেখাতেছ কারে ? জপনার দোষে ভূমি গেলে ছারেখারে । . মনে কর কি করেছ যৌবনসময় ? •সে দিনের কথা সেতে বহুদিন লয় ॥ যৌবনের গরবেতে গরবিণী হয়ে। " সাপিনীর সম ছিলে ফোস্-ফাস্ লয়ে । ঠিকুরে ঠিকুরে উঠে ঠ্যাকারে ঠ্যাকারে। কতদিন কত কথা বলেছ আমারে। মধুমুখে বঁধু বোলে তোষ নি আমার। রজনীতে শুধুমুখে দিয়েছ বিদায় । মরি কিছু জাননাকে তবে তবে তবে ? হাসিমুখে আসি প্রাণ বাকামুখ কবে ? ছুতো-নতা খুজে খুজে কাল হলো গত । একখানা নিয়ে কর ৰাক্‌খানা কত৷ না এলেতো রক্ষা নাই কত কথা ওঠে। মেদিনী ফাটিয়া হয় বকুনীর চোটে । বকুনী তখুলি গেলে পেতাম নিষ্কার। o भू१ौषट्। পোকা পড়ে থামেনাকে আর ॥ সাতপাড়া ছুটে ছুটে ফর তোলপাড় । পোড়াও আপন দোষে আপনার হাড় ॥ যামিনীতে যে সময়ে নিদ্রা ৰাও প্রিয়ে। তখন কোনল রাখো ধাম-চাপ দিয়ে। উচ্চ হয়ে কুচ্ছ গেয়ে তুচ্চ কর ধৰে । হাসিমুখে জাসি প্রাণ বাকীমুখ কবে ? এলে পরে স্বয় হতে জামায় দেখিা । ঢুকিয়া ঘরের কোণে বোসে থাকো গিয়।। সাধ কোরে কর তুমি মিছে অভিমান। বসনেতে ঢেকে রাখে কঙ্কিম-বৰ্মান ॥ আশা কোন্ধে আসি আমি তুমি মর রিষে। এসে যদি আশা যায় আসা যায় কিসে ? কলহের কন্নতৃত্ব বটে তুমি বটে। পেয়েছি কুফল ৰণ্ড তোমার নিকটে। ছাদে ছাৰো কৰা গুনে মনের অমুখে। কেৰল গিয়েছি ফিরে কারো ধাৰে-মুখে। w কখার ধমকে প্রাণ কেঁপে ওঠে শবে । " হালিমুখে আসি প্রাণ বাকামুখ কবে ? মুখের বচন নয় মুখের প্রণয়। : তুজন স্বজন হলে তবে প্রেম স্লয়। প্রণয়িনী নাম নাই প্রণয় তোমার। পরিষ্কার করিয়াছ প্রেম-হেমহার ৪ আপনি বিচ্ছেদ কোরে ঘুচালে প্রণয়। এখন দেখাও কারে বিচ্ছেদের ভয় ? আমার স্বভাব নয় তোমার মতন । * কেন হয়ে থাকি তার যে ক তন ॥ সরল হইলে সাপ বুকে ভারে ধরি। তার মুখে মুখ দিয়া বিধ পান করি ॥ যে হয় দুখের ফুখী দুখ সেই লবে, হাসিমুখে আসি প্রাণ বাকামুখ কৰে ? হাসি হাসি মুখখানি দেখিছ আমার। হাসির ভিতরে আছে হাসির ব্যাপার। মনেতে রোদন কোরে দুঃখনীরে ভালি । এ যে হাসি ছা স নয় চড়কীর হাসি ॥ নবভাৰে কেন দিব নব পরিচয় ? এই ভাৰ ভব ভাব নবভাব নয়। o গরবের ধন fรุต যৌৰস তোমার । O সে ধন রায়ে গেল কিছু নাই আর । সময়েতে কঞ্চিলে না প্রিয় ব্যবহার। এখন ধরেছ ভাব কিরূপ প্রকার ? মন তার সমুদয় পরিচয় লবে। হাসিমুখে আসি প্রাণ বাকামুখ কবে ? হাতে কোয়ে একদিন করিলে না দান । বচনেতে একদিন রাখিলে না মান ॥ ৰিফলে বৃথায় গেল সাধের যৌবন। এইরূপে নষ্ট হয় কৃপণের ধন ॥ এলো না যৌবন-ধন আমার ব্যাভারে। চুপি চুপি যদি কিছু দিয়ে থাকো করে। সে বিষয় নহে প্রাণ আমার গোচর। ভূমি জান ধৰ্ম্ম জানে জানেন ঈশ্বর ॥