পাতা:উচ্ছ্বাস - গৌরীনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্ষুট স্মৃতি । NOS) তখন বুঝিতে পারিতাম না । কৈশোর অতিবাহিত হইয়। যখন যৌবনে পদার্পণ করিযা ছিলাম, যখন মত্তত আসিয়া ছিল, যখন কৃত্রিম মুখেব কল্পনা আসিয়াছিল, যখন স্বার্থচিন্তার তরঙ্গ উঠিয়াছিল, যখন ব্যক্তি বিশেষের রূপে মোহিত হইতে শিখিয়াছিলাম, যখন প্রণয়িণীর হাসি রাশিতে অমৃতের মাধুৰী দেখিতে পাইতাম, যখন রমণীপ্রণয়ে স্বৰ্গসুখ অনুভব করিতাম, ঐশ্বৰ্য্য স্থখকে চরম সুখ ভাবিতাম,—একথা তখন বুঝিয়াছিলাম। তখন বন্ধুতায প্রতাবশ প্রাপ্ত হইযাছিলাম, মধুর বাক্যে ভুলিয়া অশেষ যন্ত্রণায পতিত হইযা ছিলাম, প্রাণ সমর্পণ করিতে গিয়া তাহার ' প্রতিদানস্বরূপ আসরলতা ও স্বার্থপরতা প্রাপ্ত হইয়াছিলাম, প্রণয সাগবে সন্তৰণ করিয়া দারুণ বিষেব জ্বালায় ছটফট কবিযাছিলাম, ঐশ্বৰ্য্য সুখে মত্ত হইযা প্রকৃত স্থখ হারাইযা পৈশাচিক অবস্থাপন্ন হইয়াছিলাম, কালকূটে অন্তর ভবিয়া গিযাছিল, দ্বেষ, হিংসা, লোভ ও মোহের উত্তেজনায় শরীব জর্জরিত হইয়াছিল। যৌবন হইতে আরম্ভ করিযা আজ পর্য্যন্ত এই ভাব— এই আধ্যাত্মিক সংকীর্ণতা দিন দিন বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়া সম্প্রতি একটী পিশাচে পবিগত হইয়াছি। এখন সরল মনে কাহারও সঙ্গে কথা কহিতে পারি না, সরলচিত্তে কাহাবও দুঃখের কাহিনী কি মুখেব সংবাদ শ্রবণ করিতে