পাতা:উচ্ছ্বাস - গৌরীনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ উচ্ছসি। து বায়ুভরে হেলিতেছে, দুলিতেছে, বোধ হইতেছে যেন মুগ্ধ হইয়৷ এই মুমধুৰ সঙ্গীতরস উপভোগ করিতেছে । দেখিতে দেখিতে সাযংকাল সমাগত হইল ; সায়ংকাল উত্তীর্ণ হইযা বজনী উপস্থিত হইল । মেঘাচ্ছন্ন গগন গাঢ় নীলিমায পবিপূর্ণ হইল, জগৎ গভীর নিস্তব্ধতায আবৃত হইল ; অন্ধকার গাঢ় হইতেও গাঢতব হইযা স্থাববজঙ্গমসঙ্কুল জগৎকে অতল বিস্মৃতিজলে নিমজ্জিত করিল। সম্মুখে তটিনী—তটিনীর কলকল শব্দ, তবে দণ্ডায়মান আমি ; যেন বোধ হইল জগতেব অস্তিত্ব ক্ষণকালের জন্য অামাতে ও তটিনীতে পর্য্যবসিত হইয়া গেল। তরঙ্গিণীর তরঙ্গলহরীর সঙ্গে সঙ্গে আমারও হৃদয়ের চিস্তালহরী বহমান হইল, উচ্ছ সবায়ু রহিয। রছিয বহিতে লাগিল, উল্লাসের তরঙ্গ নাচিযা উঠিল, প্রেমের আবর্ত কলনিনদে নাদিয উঠিল । মাতঃ ! শৈলস্থতে । তুমি পতিতপাবনী, তুমি ত্রিভুবনতারিণী। তোমাব পবিত্র সলিলরাশি সংস্পশে কত পাপী উদ্ধার হইয়াছে, কত নরাধম ঘোব মহাপাতকের হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইয়াছে। এই পুণ্যভূমি আর্য্যাবর্ত পবিত্র করিয়া, তুমি যুগ যুগান্তব প্রবাহিত হইতেছ ; এই দেবভূমি বারাণসীক্ষেত্রের পাদমূল বিধৌত করিয়া, তুমি অনন্ত কাল চলিয়াছ ; তোমারই তীরে, অদূরে ওই মণি