পাতা:উড়িশ্যার ইতিহাস.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8 মাস,লে উদ্দীন সন্ধি সংস্থাপন জন্য নাগপুরে প্রেরিত ) {৭ তম সহিত সন্ধি সংস্থাপন জন্য সম্পূর্ণ ক্ষমতা অর্পণ করিয়া নাগপুরে প্রেরণ করিলেন । তিনি তথায় এই নিয়মে সন্ধি স্থাপন করিয়৷ আসেন যে, বাঙ্গলা, বেহার ও উড়িশ্বা এই তিন মুবার চৌথ বার্ষিক বার লক্ষ টাকা মহারাষ্ট্রীয় রাজ যথানিয়মে পাইবেন , উড়িশার সুবা অর্থাৎ পটাশপুর হইতে মালুদ পর্যন্ত সমস্ত দেশ বাঙ্গলার শাসনকৰ্ত্তার নিযুক্ত এক জন মুবাদার কর্তৃক শাসিত হইবে ; ঐ সুবাদার ঐ মুবার ব্যয়ের অতিরিক্ত রাজস্ব অর্থাৎ নু্যনাতিরিক্ত চারি লক্ষ মুদ্র কটকস্থ মহারাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মচারীর হস্তে বর্ষে বর্ষে সমর্পণ করিবেন ; অবশিষ্ট আট লক্ষ টাকা বাঙ্গল ও পাটনা হইতে হুশুিদ্বারা প্রেরিত হুইবে এবং মহারাষ্ট্রীয় সৈন্য অবিলম্বে কটক পরিত্যাগ করিয়া লাইবে । এই সন্ধির পর রাজা জানোজী উড়িশা পরিত্যাগ করিয়া গেলেন । মহম্মদ মসলেউদ্দীন নবারের সুবাদার ( প্রতিনিধি ) পদে নিযুক্ত হইলেন এবং অঙ্গীকৃত চেথ আদায় জন্য শিব ভট্ট সাতরা নামে এক জন সুপ্রসিদ্ধ বণিক মহারাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মচারী স্বরূপ কটকে নিযুক্ত হইলেন । মসালে উদ্দীন সন্ধির নিয়ম প্রতি পালন জন্য যত্নবান ছিলেন, কিন্তু এক বৎসর অঙ্গীরুত চেথ দিয়া তিনি দেখিলেন যে, আর ঐ রূপ অঙ্গীকার প্রতিপালন করা অতি দুরূহ, অতএব তিনি মুরশিদা