পাতা:উড়িশ্যার ইতিহাস.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ম ] বালুকা প্রস্তর-চুর্ণ-খড়িমাটি-প্রস্তর পত্রিাদি । ৩১ এই প্রদেশের প্রস্তর সমুহের পরীক্ষায় ভূতত্ত্ববেতা পণ্ডিতদিগের বিশেষ কৌতুহল জম্মিয় থাকে ; এখানে অতি প্রাচীন আদিম স্তরের উপরেই বর্তমানকালিক নব স্তরের সন্নিবেশ দৃষ্ট হয় । মহানদীর দক্ষিণে খোর্দী প্রদেশে গ্রগনাইট প্রস্তরময় শৈলের মধ্যে কতিপয় শ্বেত ও বিচিত্র বর্ণের বালুক প্রস্তর দেখিতে পাওয়া যায় ; তাহার মধ্যে এক প্রকার দৃঢ়ীভুত চুৰ্ণক প্রাপ্ত হওয়া যায়, তদ্বারা দেশীয় লোকেরা গৃহ লেপন করে । ডোম পাড়ার নিকটবর্তী পৰ্ব্বতে খড়িমাটী অাছে, তাহা চকখড়ির ন্যায় শুভ্র নয়, তথাপি মনুষ্যের অনেক কার্য্যে লাগিতে পারে । বালেশ্বর, সোরো ও খন্তাপাড়ার নিকটস্থ পৰ্ব্বত মধ্যে ষে সকল কঠিন প্রস্তর প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহাতে নানাবিধ ভোজন পাত্র প্রস্তুত হইয়া থাকে ; এই সকল প্রস্তরপাত্র মুঙ্গেরের প্রস্তর পাত্রের ন্যায় . সুদৃশ্ব হয় না বটে, কিন্তু তাহ অপেক্ষ অধিকতর দৃঢ় হয় । সকল খনির প্রস্তর দৃঢ় হয় না, পানি খনির প্রস্তর পাত্র সমুহ দৃঢ় নয় ; এজন্য প্রস্তরপত্র ক্রয়কালে অস্কুলীর নখ বা ক্ষুদ্র লৌহ শলাকা দ্বার। আঘাত করিয়া পরীক্ষা করিয়া লইতে হয় । উৎকল দেশীয়ের উৎকৃষ্টতর পাত্র সকলকে মুগনি পাথর কহে । . -