পাতা:উড়িশ্যার ইতিহাস.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** रिश्नो जभूङ् । [ ১ তম নিঃশঙ্কচিত্তে কেকারবে বন প্রতিনাদিত করিতেছে । ’ মর্যালকুল নদী ও ভড়াগ সমূহের নিৰ্ম্মল পয়োরাশি মধ্যে বিবিধ রঙ্গে ক্রীড়াচ্ছলে সত্তরণ করিতেছে । বালিহংস, ধবলকান্তি বক, বিচিত্রবর্ণ মৎস্যরস্ক ও কজ্জলপক্ষ দত্যুেহ ডোহুক ) নদী ও তড়াগের কুলে বিরাজমান আছে । কবিদিগের অতি প্রিয় বিহঙ্গ চক্রবাক ও চক্রাবকী, চকোর ও খঞ্জন স্থানে স্থানে কাল বিশেষে কানন, নদীতট ও কেদার মধ্যে বিচরণ করিয়া, পরম রমণীয় শোভা বৰ্দ্ধন করিতেছে । ভীমরাজ নামে এক প্রকার পক্ষী অাছে তাহর স্বর অতি কৌতুহলজনক, তাহারা সকল প্রকার শব্দের অনুকরণ করিয়া থাকে, এজন্য তাহাদিগকে ইংরেজি ভাষায় মকিংবর্ড অর্থাৎ হরবোলা পক্ষী কহে । এভম্ব্যতীত চঞ্চু শৃঙ্গী ধনেশ, যখন দলবদ্ধ হইয়া গ্রীব বিস্তারপূর্বক তাহাদিগের চঞ্চুপুটস্থ শৃঙ্গ উন্নত করিয়া শূন্যমার্গে উড়ভীন হইতে থাকে, তখন একটি চমৎকার দর্শন হয় । যদিও উৎকল দেশের এই বিভাগে জীবনোপযোগী শস্যাদি বিপুল পরিমাণে জন্মে না, তথাপি এখানকার গিরিনিকরসঞ্জাত ধাতু প্রভৃতির গবেষণায় ও তন্ত্রত্য নিৰুপম নৈসর্গিক শোভা অস্ত্ৰলোকনে অসীম আনন্দ অনুভূত হয় এবং দর্শকের মন শ্রদ্ধা ও ভক্তিভাবে পরিপ্লাবিত হইতে থাকে ।