কথা পাঁচশ’ বার বুঝাইলেও বুঝিতে পারে না। তেমনি গাছের মধ্যে যাহারা হাবা, তাহাদের সাড়া হয় ছোট— যন্ত্র ভিন্ন দেখা যায় না। চতুর চঞ্চল গাছের সাড়া বড়— খালি চোখেই বেশ দৃষ্টিগোচর হয়। (যেমন লজ্জাবতী, কামরাঙা প্রভৃতি গাছের।) আসলে কিন্তু প্রাণিগণের সাড়া ও গাছের সাড়া একই প্রকৃতির। সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা আছে বলিয়া প্রাণী যদি প্রাণী, গাছ কেন প্রাণী হইবে না?
আচার্য্য জগদীশ তবু ঐ একটি প্রমাণের উপর নির্ভর করিয়াই এত বড় সিদ্ধান্ত করেন নাই। তিনি আরও এমন সব নিখুঁত প্রমাণ দিয়াছেন, যে-গুলির কথা শুনিলে বিস্ময়ে নির্ব্বাক হইয়া যাইতে হয়, ভাবিয়া দেখিলে সন্দেহ করিবার আর এতটুকু অবসর থাকে না। তিনি তাঁহার আবিষ্কৃত যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদের স্নায়ু আবিষ্কার করিয়াছেন, বৃক্ষের হৃৎ-স্পন্দনের প্রকৃতি নির্ণয় করিয়াছেন। প্রাণীর হৃদয়-স্পন্দনের ছবি বহু পূর্ব্বেই গৃহীত হইয়াছিল। ‘বসুবিজ্ঞান-মন্দিরে’ বৃক্ষহৃৎ-স্পন্দনের ছবিও গ্রহণ করা হইয়াছে। এইখানে প্রাণিগণের ও উদ্ভিদের হৃৎ-স্পন্দনের ছবি এক-একখান। দিতেছি। মিলাইয়া দেখ, দুইখানিই কেমন এক রকমের— একটি যেন অপরটির প্রতিলিপি।
তাছাড়া আরও বিস্ময়কর অনেক খবর আচার্য্যের বিজ্ঞান-মন্দির হইতে প্রকাশিত হইয়াছে। উদ্ভিদের উপর