পাতা:উদ্ভিদ্‌-বিচার - প্রথম ভাগ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*S రీ উদ্ভিদবিচার | অশ্বখ পত্রের হরিৎ অর্থাৎ সবুজাংশ বারিয়া পড়িলে পত্র কি রূপ জালবৎ আকার ধারণ করে বোধ হয় অনেকেই তাহ দেখিয়াছেন। এই জলবৎ আকারকেই পত্রকঙ্কাল বলে। কঙ্কালের স্থল অংশ গুলিকে পত্রের পঞ্জর এবং ক্ষুদ্রতর অংশ গুলিকে শিরা বলে। পত্র মধ্যে পঞ্জর এবং শিরার সশস্থল অবস্থানকে পত্রের শিরা-বিন্যাস কছে। রন্ত পত্রমধ্যে প্রবেশ করিয়া ইহার মূল হইতে অগ্রভাগপৰ্য্যন্ত অবিচ্ছিন্নভাবে এবং স্থলাকারে অবস্থিতি করিলে পত্রস্থিত স্থন্তের ঐ অংশকে পত্রের মধ্য-পঞ্জর কহে। অনেক পত্রের মধ্যপঞ্জরের উভয় পাশ্ব হইতে পক্ষশিরার মত অপেক্ষাকৃত সূক্ষ শিরা সকল বহির্গত হইয় থাকে। এতাদৃশ শিরা-বিন্যাস সম্পন্ন পত্রকে পক্ষশিরিত ( অর্থাৎ পক্ষির পক্ষের মত শিরার বিন্যাস যে পত্রের ) পত্র কছে। যথা শিয়াল কঁটির পত্র । অনেক পত্রের বৃন্ত পত্রমধ্যে প্রবেশ করিয়া বহুসংখ্যক শাখায় বিভক্ত হয়। কিন্তু এই শাখাসমূহের মধ্যে একটাও রন্তের অবিচ্ছিন্ন ক্রমিকতা বলিয়া বোধ হয় না । এবস্তুত শাখা সমুদায় পত্রের মূল হইতে অগ্রভাগ পৰ্যন্ত সরলভাবে অবস্থিতি করিলে পত্রকে সরল-শিরিত কহ। যায়। যথা দশবায়চণ্ডীর পত্র। আবার এই সকল শাখা কখন কখন কিয়ং পরিমাণে বক্রীকারও ধারণ করে । , এতদবস্থ পত্র বক্র-শিরিত বলিয়া অভিহিত হয়। যথা মেটে আলুর পত্র। তৃতীয়তঃ অনেক পত্রের রস্তু এবং