পাতা:উদ্ভিদ্‌-বিচার - প্রথম ভাগ.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপতৃণ । কাণ্ডের সহিত সংযোগ স্থলে পত্র ব্লন্তের উভয় পার্থে কখন কখন ক্ষুদ্র তৃণ বৎ অংশ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহা উপতৃণ (অর্থাৎ তৃণের সহিত উপমা দেওয়া যায় যাহার ) বলিয়া অভিহিত হয়। ব্লন্তপার্থে উপতৃণের অবস্থ। বা অনবস্থান অনুসারে উদভিদুগণ ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত হইয়া থাকে। উপতৃণ-শালী পত্রকে সোপতৃণক এবং উপতৃণ হীন পত্রকে অনুপতৃণক কহে। পেয়ারার পাতা অনুপতৃণক এবং চাপর পাতা সোপতৃণক পত্রের উদাহরণ স্থল । কেহ কেহ বলেন উপতৃণ অসম্পর্ণেরূপে আবিভূতি পত্ৰ ব্যতীত আর কিছুই নয়। আবার কোন কোন পণ্ডিতের মতে ইহা পত্র-রম্ভের কাওকোষের বিশেষ আকার মাত্র । শেষোক্ত মতই অপেক্ষাকৃত সঙ্গত বলিয়া বোধ হয় । ইহার আকার এবং স্থায়িত্বের বিলক্ষণ ইতর বিশেষ আছে। নারিকেল, গুবৰু কদলী প্রভৃতি এক বীজদল উদ্ভিদে উপতৃণের সম্পূর্ণ অসম্ভাব দেখা যায়। আবার ইহা আকারে বিলক্ষণ বড় হইয়। কোন কোন উচ্ভিদে শাপাফলের পাতার ৰে'ট পরীক্ষা করিয়া দেখিলে " উপতৃণ " এই শব্দ প্রয়োগের স্বাখার্থ্য উপলব্ধ হইৰে ।