পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগের সংগ্রাম। ( মাঘোৎসব ) সায়ংকাল, শনিবার, ১৩ই মাঘ, ১৮০০ শক ; ২৫শে জানুয়ারি, ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দ । সংগ্রামের বাদ্য বাজিল। স্বর্গে সংগ্রামের বাদ্য বাজিল, শ্রবণ কর । স্বৰ্গীয়েরাই যোদ্ধা । পৃথিবীতে কি যোদ্ধা আছে ? পৃথিবীতে বীরত্ব কই ? স্বৰ্গীয়েরাই তেজঃপুঞ্জ। যোদ্ধ বংশ, নৃত্য কর ; ধাৰ্ম্মিকদল, নিদ্রা আলস্য ঝাড়িয়া ফেল। অৰ্জ্জুন যুদ্ধ করিতে চান না, শোকভরে র্তাহার মন যুদ্ধ হইতে নিবৃত্ত হয়, ধনুৰ্ব্বাণ স্থলিত হয়, তিনি সংগ্রামে পরায়ুখ হন, তাহার সারথি, তাহার নেতা তাহাকে যুদ্ধে প্রবৃত্ত করিবার জন্য সহূপদেশ দেন। গীতাতে যুদ্ধের প্রবৃত্তির বিষয় বর্ণিত। শান্তি-প্রিয় হিন্দুদিগের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ গীতা যুদ্ধে মনকে উত্তেজিত করিতেছে। কে বলিল, স্বর্গে যুদ্ধ নাই, হুঙ্কার নাই ? কে বলিল, দেবতারা আরাম করেন ? কে বলিল, স্বৰ্গীয়ের দ্বন্দ্ব করিবার প্রকৃতি ত্যাগ করিয়াছেন ? এই কথা যাহারা বলে, তাহারা মিথ্যা বলে। যুদ্ধধবনিতে, যুদ্ধের সিংহরবে স্বর্গ প্রতিধ্বনিত। সেই হুঙ্কার যখন সংসারে অবতীর্ণ হয়, তখন ধাৰ্ম্মিকের দল, মহাপুরুষগণ জন্মগ্রহণ করেন। তখন পৃথিবীতে ধৰ্ম্মের সাগর উথলিত হয়, উৎসাহাগ্নি জলিয়া উঠে। চারিদিকে ব্ৰহ্মনামের তুরী ভেরী বাজিয়া উঠে। যুদ্ধের হুঙ্কারে সমর ঘোটকসকল যুদ্ধক্ষেত্রের একদিক হইতে অন্যদিকে ধাবিত হয় এবং রণবাদ্যে তাহদের শরীর রোমাঞ্চিত হয়। কে বলে, স্বৰ্গীয়েরা ধনুৰ্ব্বাণ হস্তে লইয়া যুদ্ধ করেন না ? তাহাদিগের দৃষ্টি শান্ত, বাক্য শান্ত, ব্যবহার কোমল ;