পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যবর্তী । ૨૭ প্রেমচন্দ্রকে দেখা যায়। পৰ্ব্বত দেখিতে দেখিতে, মন সেই এক পুরাতন পুরুষ সত্য-হিমালয়ের নিকট উপস্থিত হয়। গভীর অতলস্পর্শ বিশাল সমুদ্র দেখিলে সেই অনন্তকে মনে হয়। এই সকল মধ্যবৰ্ত্তী কেহই পূজা চাহে না । এই পৃথিবী ঈশ্বর এবং আমাদিগের মধ্যে দাড়াইয়া উৎকৃষ্ট আচার্য্যের কার্য্য করিতেছে। আমাদিগের পুরাতন আৰ্য পিতৃবংশ এই সৃষ্টির মধ্য দিয়া স্রষ্টাকে উপলব্ধি করিতেন। ঈশ্বর এবং মনুষ্যের মধ্যে ব্যবধান বিনাশ করিবার জন্য এই জগৎ মধ্যবৰ্ত্তী হইয়াছে। পূৰ্ব্বতন যোগী, ঋষি, মুনিগণ নদীতটে অথবা পৰ্ব্বত-গহবরে বাস করিয়া, যোগ ধ্যান এবং তপস্যাদি করিতেন। কেবল যে মিথ্যা কবিত্বের জন্ত র্তাহারা প্রকৃতিকে এত ভালবাসিতেন তাহ নহে, কিন্তু এ সকল প্রকৃত ব্যাপার পুরাতন ঈশ্বরের সাক্ষী। প্রকৃতিকে ছাড়িয়া প্রকৃত ঈশ্বরকে কে জানিতে পারে? প্রকৃতি স্বচ্ছ মধ্যবৰ্ত্তী। জীবাত্মা পরমাত্মার মধ্যে ব্যবধান নাই । কিন্তু প্রকৃতি মূক, প্রকৃতি কথা বলিয়া ঈশ্বরের গাম্ভীৰ্য্য ও সৌন্দর্ঘ্যের সাক্ষ্য দিতে পারে না । জড় স্বভাব নিস্তদ্ধ। কিন্তু মানবজাতির মধ্যে এক প্রকাণ্ড পুরোহিত-বংশ ঈশ্বরের স্পষ্টতর সাক্ষী। সেই বংশের আচাৰ্য্যদিগের অসাধারণ ধৈর্য্য, বীৰ্য্য, পবিত্রত, শান্তি স্তরে স্তরে পড়িয়া আছে। র্তাহাদের জীবন প্রথম শতাব্দী হইতে এ পর্য্যন্ত, আত্মার গম্ভীর স্বরে আত্মশুদ্ধির দৃষ্টান্ত দেখাইয়া দিতেছে। সে সকল মহাত্মার নানা দেশ হইতে নানা শাস্ত্র লইয়া আমাদিগকে ঈশ্বরের নিকটে যাইবার পথ দেখাইয়া দিতেছেন। এখনও নারদের বীণা, দাউদের গাথা, মুসার শব্দ, ব্যাস, পরাশরের উপদেশ, আমাদিগের ধৰ্ম্মভাব উদ্বোধন করিতেছে। র্তাহার। মৃত অথচ মৃত হন নাই। ব্রাহ্মধৰ্ম্মে সত্য সকল অবিনশ্বর। সেই অগ্রজদিগের পদচিন্তু পড়িয়া রহিয়াছে। র্তাহাদিগের মধ্যে কেহই বলেন না, আমাকে