পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপদেশ । لارا (ع\ কাল ও আকাশ সাগরকে পরিক্রমণ করিতেছে । যদি জড়ের অতীত জড়শক্তি হইল, তবে মনুষ্যের অতীত কি মানসিক শক্তি নহে? সকল লোকেই স্বীকার করিবে যে, মানুষের দেহ মনের বহির্ভূত কোন একটা প্রবল ভয়ঙ্কর শক্তি মানবজীবনকে চালিত করিতেছে। কেহ কেহ ইহাকে অদৃষ্টশক্তি বলে, কেহ বা ইহাকে দৈবশক্তি বলে, কেহ বা নৈসর্গিক শক্তি বলে । ইহার নিকট মানুষের দেহ মন উভয়েই পরাস্ত । এই শক্তির উপর প্রতিজনের নির্ভর করিতে হয়, সকলের সুখ দুঃখ ইহাকে অবলম্বন করির স্থিতি করিতেছে। তবে এই মনোনীত মানসিক শক্তি কি ? ইহা কোন আধারে কাহাকে অবলম্বন করিয়া স্থিতি করে? যে দুইটি শক্তিচক্রের কথা উল্লেখ করা গেল, ইহারা কি বাস্তবিক পৃথক্ ? শক্তি কাহাকে বলে ? যাহার প্রভাবে কোন কাৰ্য্য হয় তাহাকে শক্তি বলা যায়। শক্তি এক প্রকার, তাহার প্রকাশ সহস্র প্রকার । এক অগ্নির দাহিকাশক্তি অসংখ্য প্রকারে সংসারে কার্য্য করিতেছে । ইহাতে শরীর উষ্ণ থাকে, রক্ত পরিষ্কার হয়, পরিপাক কাৰ্য্য চলে, স্থৰ্য্য উত্তাপ দেয়, মেঘ বারি বর্ষণ করে। এক বুদ্ধিশক্তি দ্বারা জগতে অগণ্য প্রকার কার্য্য সাধিত হয়। শক্তি বহুপ্রকার নহে, এক প্রকার, বহু প্রকার উপকরণ সংযোগে ইহা বহুরূপ ধারণ করে । সমুদয় পদার্থবিদ্যা জড়শক্তিকে একীভূত করিতেছে ; এবং যখন মনুষ্যের মন এই একীভূত জড়শক্তির তাৎপৰ্য্য অবধারণ করিতে চেষ্টা করে, তখন দেখে জড়ের মধ্যে জ্ঞান, প্রাণশূন্ত প্রকৃতির মধ্যে শোভা, সৌন্দৰ্য্য, সন্মিলন, প্রেম, বিধি, নিয়ম, শৃঙ্খলা ও মঙ্গলভাব । মন নিজের লক্ষণ সমস্ত জড়ম্বষ্টির মধ্যে দেখিয়া স্তব্ধ হয়। জড়ীয় নৈসর্গিক শক্তি এক প্রকাণ্ড,চিন্ময়ী শক্তিতে পরিণত হয়। বহিজগতের কৌশল কৌশলী মানবচিত্তের নিকট স্বীয় পরিচয় দেয়। স্থষ্টির