পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্দ-মাহাত্ম্য । ( মাঘোৎসব ) রবিবার ১০ই মাঘ, ১৮০৩ শক ; ২২শে জানুয়ারি, ১৮৮২ খৃষ্টাব্দ । জৰ্ম্মনী দেশে রাইন নদীতীরে লোৰ্লিনামে এক বিচিত্র স্থান আছে, এই স্থান পৰ্ব্বতময় নদীকুল। সেই সকল পৰ্ব্বতের এক বিশেষ গুণ এই কেহ যদি উচ্চৈঃস্বরে শব্দ করে, সেই শব্দ প্রতিধ্বনিত হইতে হইতে এতদূর পৰ্য্যন্ত যায়, যেন প্রতিধ্বনিরূপ সাগরে মিশিয়া পড়ে। এই ব্যাপার দেখিলে লোকে আশ্চৰ্য্যান্বিত হয়। শব্দ এবং প্রতিশব্দ, ধ্বনি এবং প্রতিধ্বনি। হে ব্রাহ্ম, এ বিষয়ে কি আলোচনা করিয়াছ ? আওয়াজ কি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার, মনে কি ইহা লাগিয়াছে ? সৰ্ব্বদা পৃথিবী নানাবিধ শব্দে পরিপূর্ণ; কয়জন লোক স্থির হইয়া শব্দতত্ত্ব আলোচনা করে ? আওয়াজের বিষয় বলা এবং ভাবা কার অধিকার ? সাহিত্যের, না বিজ্ঞানের ? না ধৰ্ম্মের ? আমি বিবেচনা করি, শব্দের গভীর তত্ত্ব বিজ্ঞানের অতীত ; ধৰ্ম্মের অধিকৃত । শব্দকে সঙ্কোচ করা, শব্দ দ্বারা দিক্ বিদিক কম্পিত করা, শব্দে শাস্ত্র সংগঠন করা, বিদ্যা উৎপন্ন করা, এ সমুদয় ধৰ্ম্মের ব্যবসায়। শব্দ কি, শব্দ কত বড় হইতে পারে, কত ছোট হইতে পারে, এ সকল অতি অদ্ভুত আলোচনা। শব্দকে বৃদ্ধি করিতে করিতে, এমন ভয়ঙ্কর করা যায় যে, মনুষের কর্ণ তাহ সহিতে পারে না। এক বজের শব্দ শুনিলে লোকে কর্ণে হস্তাপণ করে। কে না মনে ভাবিতে পারে, এই বজ্রের শব্দ শত গুণ হইতে পারে। এক বজ্রের শব্দ শত বজ্রের শব্দ