পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম-কৃপাহি কেবলং । *

সায়ংকাল, শুক্রবার, ১১ই মাঘ, ১৭৮৯ শক ;

২৪শে জানুয়ারী, ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দ । “ব্রহ্ম-কৃপাহি কেবলং” এই জয়-পতাকা হস্তে করিয়া আমরা প্রত্যুষে এই মহানগরীর পথে পথে ভ্রমণ করিয়াছি। এক্ষণ সেই জয়পতাকা এই উৎসব-গৃহের দ্বারে বায়ু-হিল্লোলে উড্ডীয়মান হইতেছে। “ব্রহ্ম-কৃপাহি কেবলং” এই সত্য, যাহা আমাদের অপবিত্র আত্মা কিছুদিন পূৰ্ব্ব হইতে নিরবধি উচ্চারণ করিতেছে, ইহাই আমাদের ভবিষ্যতের দণ্ডায়মান হইবার স্থান। আমাদের চরণের নিম্নে ভূমি আন্দোলিত হয়, এমনি ভয়ানক আমাদের অবস্থা। আমাদের দেশের নিকট আমরা ঘৃণিত হইয়াছি। ” কোন দিকে আশা নাই। সুতরাং এই সত্যটা আমরা সৰ্ব্বদা ধারণ করি। আমরা সকল স্থানেই এই জয়ধ্বনি ঘোষণা করি ; ইহা ভিন্ন অন্য বিশ্বাস অসম্ভব। ঈশ্বর আমাদের ইতিবৃত্ত মধ্যে এই শিক্ষা দিয়াছেন যে, তাহার কৃপা আমাদের সমাজের বর্তমান দশায় বিদ্যমান রহিয়াছে। এই কয় বৎসর কত ভ্রম, কত বিচ্ছেদ, কত নাস্তিকতা ইহার উপরে বহমান হইয়াছে। কোথায় সেই দর্শনশাস্ত্রের নাস্তিকতার ভয়াবহ প্রবাহ, কোথায় সেই নূতন স্বর্ঘ্যের আবির্ভাব। এই পরিবর্তন প্রবাহ মধ্যে তাহার করুণাই সেতুস্বরূপ হইয়াছে। র্তাহার কৃপা নিঃশ্বাস প্রশ্বাসকে নিয়মিত করিয়াছে ; তাহারই কৃপাতে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বর্তমান অবস্থা। এই অবস্থায় অনেক বিরোধ বৰ্ত্তমান আছে বটে, ইহার মধ্যে নানাপ্রকার বন্ধুতার ভেদ আছে বটে, কিন্তু ইহার মধ্যে র্তাহার কৃপা প্রকাশিত

  • গোপাল মল্লিকের বাড়ী—সিন্দুরিয়াপটী, চিৎপুর।