পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শব্দ-মাহাত্ম্য | SWE) নিরাকার ব্রহ্মের শব্দ-প্রকাশের যন্ত্র । কোন কোন মহাত্মা এমনই বলেন যে, বেদ বেদান্ত পরাজিত হইয়া যায়। কোন কোন মহাত্মার এমনই উচ্চারণ যে, তাহার নাম হইয়াছে চতুর্মুখ। এই জন্যই বলে, ব্ৰহ্মা চতুর্মুখ ৷ এক মুখে অধিক বলা যায় ভাবিতে না পারিয়া, লোকে অধিক মুখের আরোপ করে। মুখবান নরনারীই দেবতা বলিয়া গণিত হইয়াছেন। এক ভাব সাধক-মুখে উচ্চারিত হয়, সংগীতে সেইভাব গীত হয়, বাদ্যযন্ত্রে সেই ভাব বাজে। মূল কোথায় ? সাধকের মুখবিনিঃস্থত একটা শব্দে। সাধক যাহারা, ঈশ্বরের দাস র্যাহারা, তাহদের মুখ যন্ত্রস্বরূপ। ইহার আওয়াজে কোটী বাদ্যযন্ত্র হারিয়া যায়। একটী শব্দ ঈশ উচ্চারণ করিলেন, চার সহস্ৰ লোক একত্রিত হইয় তাহাই গান করিতেছে, ইহা কর্ণে শুনিয়াছি। এই যে প্রকাণ্ড বজুতুল চীৎকার, যাহা এক মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হইয়াছিল, ইহা ঠিক লোলী নামক স্থানের শব্দের ন্যায়। এমনই নিকটে আসিবে, এমনই দূরে রাইবে যে, ভয় পাইতে হয়। সাধক-কণ্ঠের ধ্বনি বিদেশে চলিয়া গেল, ব্রহ্মাণ্ডকে পূর্ণ করিল। প্রথম মানুষ যিনি, তিনি হয়ত বলিলেন, পিতাকে প্রেম কর, ভ্রাতাকে ভালবাস । এ শব্দ কোথা হইতে তিনি বলিলেন ? অন্তরের এক শব্দ হইতে । ভিতরের সেই যে এক শব্দ, তার নাম কি ? তার নাম বিবেক, তার নাম প্রত্যাদেশ, তার নাম আদেশ । তার নাম কি ? তার নাম, মনুষ্যের । আত্মাতে ঈশ্বরের স্থিতি। সেই স্থিতি হইতে যে ধ্বনি হইল, তারই প্রতিধ্বনি বরাবর হইতে চলিল। একজন উপদেষ্টার প্রতিধ্বনি দশ জনে করে ; একজন আচার্ষ্যের প্রতিধ্বনি পাঁচ শত লোকে করে । এক ভগবদ্ভক্তের প্রতিধ্বনির এই রবিবারে চল্লিশ সহস্র প্রতিধ্বনি উঠিতেছে। এই মুহূর্ভেই উঠিতেছে। উপাসনাও প্রতিধ্বনি, সকলই