পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমের ধৰ্ম্ম । রবিবার, ১লা ফাল্গুন, ১৮০৩ শক ; ১২ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৮২ খৃষ্টাব্দ। ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য উত্তপ্ত কেন ? ধৰ্ম্মোপদেষ্টার মুখে নিন্দাস্থচক বাক্য কেন ? ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য আশীৰ্ব্বাদ করিবেন, প্রিয় বলিবেন, মিষ্ট বলিবেন, রুষ্ট হইবেন না, এইত জানি। প্রত্যাশা করি, সাধুকাৰ্য্য করিব ; আচাৰ্য্য আশীৰ্ব্বাদ করিয়া অগ্রসর হইবার সাহায্য করবেন। যখন অন্যায় কাৰ্য্য করিব, প্রিয় বচনে ফিরাইবেন । তাহ দেখি না কেন ? মাঝে মাঝে ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য এমনই তীক্ষু বাক্যে হৃদয় বিদ্ধ করেন, অগ্নির ন্যায় দগ্ধ করেন, যে ব্যথিত হই। জিজ্ঞাসা করি, ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য এত রুষ্ট কেন ? অপ্রসন্ন কেন ? ধাৰ্ম্মিকেরা মিষ্ট বলিলে লোকে বিস্মিত হয় না, রুষ্ট বলিলেই বিস্মিত হয় ; ইহার মানে কি, লোকে বুঝিতে পারে না। যিনি পৰ্ব্বত পাশ্বে দাড়াইয়া বলিলেন, “দীনাত্মারা ধন্ত", তিনিই আবার কাল সৰ্পের বংশ বলিয়া নিদারুণ বাক্যবাণে বিদ্ধ করিলেন। মোহম্মদ কোরেশের দৌরাত্ম্য, স্বদেশীয়দিগের বিদ্রোহ কত দীন হইয়া ও ধীর হইয়া সহ করিলেন, সেই মোহম্মদ চক্ষু হইতে অগ্নি-স্ফুলিঙ্গ বাহির করিয়া কাফেরকে অভিসম্পাত করিলেন। যে শাক্য নিৰ্ব্বাণ-সাগরে মগ্ন, নিৰ্ব্বাত প্রদীপতুল্য, তিনিই আবার মাঝে মাঝে কুতর্ক দমন করিবার জন্ত এমন সকল বাক্য ব্যবহার করিলেন যে, বজ্ৰ পড়িলে যেমন বৃক্ষের উপর হইতে নিম্ন পৰ্য্যন্ত ভেদ হয়, তেমনি কুতার্কিকের কুতর্ক ভেদ হইয় গেল। ইহাতে ফল হয় কি? অনেক হিন্দু, অনেক মুসলমান, অনেক খ্ৰীষ্টান এমনই দারুণ বাক্য ব্যবহারে পটু হইলেন যে, তাহ শুনিলে মন শীতল