পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ই উপদেশ । সহিতে পারে, কিন্তু যার জন্য প্রেম দিয়াছে, সেই পদার্থের উপর আঘাত করিলে কেহ সহিতে পারে না। নারীকে বস্ত্র না দাও, অন্ন না দাও, সহিবেন ; সন্তানের উপর আঘাত করিলে আর সহিবেন না। স্বামী সমস্ত বরদাস্ত করিতে পারেন, পত্নীর উপর অত্যাচার করিলে আর সহিবেন না। ধৰ্ম্মাত্মা যিনি, তাকে মার, বিরক্ত কর, তার কুৎসা কর, তিনি সমস্তই সহ্য করিবেন ; কিন্তু প্রিয়তম পরমেশ্বর ও র্তাহার কার্য্যের উপর কেহ নাস্তিকতার, কি রিপুর, কি সন্দেহের আঘাত যদি করে, কোন ক্রমেই সহিবেন না। তার নিকটে এমনি মান-যন্ত্র আছে যে, ঈশ্বরের দিকে এক কুঁচ তুল্য অত্যাচার করিলে তার শরীরের রক্ত উষ্ণ হয়, তিনি কঠোর ভাষা বলেন ও কঠোর কার্য্য করেন। নর-নিন্দ আর হরি-নিন্দার প্রভেদ লোকেত বুঝিতে পারে না, তাই আশ্চৰ্য্য হয়। মারিলাম, কাটিতে গেলাম ; যে সকলই সহিল, একটী কথাও কহিল না, সেই আবার সিংহনাদ করে, মারিতে আসে, কাটিতে আসে কেন ? র্তার উপর যত অস্ত্র ফেলা হয়, তিনি কিছুতেই উত্তেজিত হন না, কিন্তু তার সীমা অতিক্রম করিয়া পরমেশ্বরের প্রতি তৃণ নিক্ষেপ করিলেই বজের দ্যায় তার হৃদয়ে বাজে। যিনি আপনার প্রকৃতিকে ঈশ্বরের প্রকৃতিতে ফেলিয়াছেন, যিনি আপনাকে ফেলিয়াছেন তাহাতে, র্তাকে মারিলে লাগিবে কেন ? যাহার আমি বলিবার ঠাই নাই, তার ‘আমি’কে লাগিবে কেন ? তার সকল প্রেম যেখানে রাখা, তার শরীর মন যেখানে, ইহ পরকালের আশা যেখানে সমৰ্পিত, সেখানে দৌরাত্ম্য করিলে আর সে মানুষ থাকেন না । তিনি কি ব্যবহার করিবেন, তাহার ঠিকানা নাই। এই সকল দেখিয়া ধৰ্ম্মচাৰ্য্যকে ভয় কর । তাকে ঘৃণা কর, ৰ্বোহীর মূরণ কামনা কর, এমন কি মারিবার চেষ্টা কর, তিনি ‘কার অন্বেষণ