পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমের ধৰ্ম্ম । ○○ কর বলিয়া ধরা দিবেন। র্যাহাকে শক্ররা ঢাল লইয়া, তরবারি লইয়া গিয়া সহজে ধরে, ঈশ্বরের বিপক্ষে একটি অস্ত্র নিক্ষেপ করিলে তিনিই এমনি হুঙ্কার করেন যে, কার সাধ্য ধরিতে পারে ? যখন ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য সিংহশাবকের ন্যায় শব্দ উচ্চারণ করেন, লোকের তখন তাক লাগিয়া যায়। এই যে প্রেম, ইহা কখনও নরম, কখনও গরম ; কখনও শিশুর ন্যায়, কখনও হস্তীর ন্যায় ; কখনও ক্ৰন্দন, কখনও হাস্য ; কখনও হুঙ্কার লম্ফ, কখনও শান্ত স্থির। কখন যে কি মূৰ্ত্তি ধরে, কি করে, অথবা কি বাক্য উচ্চারণ করে, মানুষ তাহা বুঝে না। আর একটী কথা এই, যাহাদের শরীরে শরীরে এখনও প্রেম স্থর প্রবেশ করে নাই, আমিত্বরূপ মহিষকে অষ্টমীর দিবসে র্যাহারা আজও বলিদান দেন নাই, জুলুম জবরদস্তিতে র্তাহাদের অধিকার নাই। যে পরিমাণে প্রেম, প্রীতি, ক্ষমা, দয়া, ও পরের জন্য প্রাণ-দান, সেই পরিমাণে রোষ প্রকাশের অধিকার। তুমি যদি ধৰ্ম্মাত্মার জীবনের রোষ মাত্র অনুসরণ কর, তাহাতে লোকে ভুলিবে না ; তোমারও কিছু গৌরব নাই। প্রথমে প্রেম আনিয়া হৃদয়কে সম্পূর্ণরূপে প্রেমিক কর, ক্ষম ও নিজের প্রকরিত (?) ত্যাগ ও সংযম সম্পূর্ণরূপে অধিকার কর, প্রেমেতে মাটী হও, কোমল হও, তার পর অধিকার দেওয়া যাইবে, যার উপরে যে ভাষা হউক, ব্যবহার করিও । প্রেমের সঙ্গে আঘাত ভাল ; প্রেমের অভাবে স্তুতিও মন্দ। প্রেম আগে হউক, পরে প্রেমের অনুরোধে কখনও শান্তি, কখনও রোষ, কখনও হাস্য, কখনও রোদন, কখনও কিছু—এই সমস্ত মহাভাব পূর্ণ হইয়া আপনার ধন্য হইব ; পৃথিবীকেও কৃতাৰ্থ করিব।