পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মসমাজ । ¢ ፃ গিয়া সুখে স্বচ্ছন্দে অবস্থান করিতে পার, কিন্তু বাস্তবিক তাহ পারি না । শুদ্ধ যে পারি না তাহ নহে, ইচ্ছা হইলেও পারি না । কি এক উপদেবতা স্কন্ধে আসিয়া বসিয়াছে যে, আমি যাইতে চাহিলেও যাইতে দেয় না। আমি যদি বলি, ছাড়, আমায় ছাড়ে না। আমরা কিছু বালক নই, নিতান্ত যুবকও নই, ভাল মন্দ পৃথিবীর জানি, অভিমান আছে, লজ্জা আছে, কেহ আঘাত করিলে আঘাত পাই, এ সকল সত্ত্বেও এই যে কি একটা শক্তি আমাদিগকে ধরিয়াছে যে, কিছুতেই ইহাকে ঠেলিয়া ফেলিতে পারি না । ইহার জাল কিছুতেই কাটিয়া যাইতে পারি না। এখন বিবেচনা করিব, এই যে আসক্তি, ইহা শরীরের, না মনের ? দেহ, না মন আকৃষ্ট হইয়াছে ? হৃদয় আমাদিগের ধরা পড়িয়াছে । মন বন্দী হইয়া পড়িয়াছে। পরস্পরের সঙ্গে স্থায়ী সম্বন্ধ সংস্থাপিত হইয়াছে। অভিমানবশতঃ আমরা স্বীকার করি আর না করি, এই মণ্ডলীর মধ্যে কেহ আমাদিগের পিতা, কেহ পিতৃব্য, কেহ মাতা, কেহ কনিষ্ঠ । এই ক্ষুদ্র মণ্ডলীতে নানা সম্বন্ধ সংস্থাপিত আছে। মন যখন ভাল থাকে, তখন পিতা বলিতে লজ্জা বোধ হয় না, জ্যেষ্ঠ বলিয়া কাহারও বা চরণ চুম্বন করিতে ইচ্ছা হয়। দেবশক্তি অবতীর্ণ হইয়া, এই সকল সম্বন্ধে বদ্ধ করিয়া, ধৰ্ম্মসমাজে পরিণত হইয়াছেন। জাতিভেদ ছাড়িয়া এই যে এখানে আসিলাম, ইহা কি আপনার ইচ্ছাতে ? কেহ ছিল নগরে, কেহ ছিল গ্রামে, কেহ ছিল পাপে । সেই শক্তি সকলকে এখানে আনিয়া এক করিয়া ফেলিল। পৃথিবীর পিতা মাতা আমাদিগকে অস্বীকার করিলেন, আত্মীয় কুটুম্ব নদীর জলে মায়ামমতা ভাসাইয়া দিলেন, ডাকিলে কেহ উত্তর দেন না, দেখিলেও কেহ পরিচয় লন না ; কিন্তু এই যে এখান কার পাঁচ জন দশ জন পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকাইতেছেন, কেহ しア