পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলৌকিকতা । ২২শে জ্যৈষ্ঠ ১৮০৪ শক ; ৪ঠা জানুয়ারি, ১৮৮২ খৃষ্টাব্দ । অল্পদিন হইতে এই মন্দিরে এবং আমাদিগের এই প্রিয় ধৰ্ম্মবিধান সম্বন্ধে এমন অনেক কথা হইয়াছে, যাহাতে লোকে মনে করিতে পারে, আমরা ক্রমাগত বিস্ময়কর, প্রকৃতির অতীত নানা কথা কহিতেছি ; স্বভাবের উপর যাহা, ভৌতিক নিয়মের অতীত যাহা, যাহা বিস্ময়জনক এবং যাহা লইয়া অন্যান্য ধৰ্ম্মসম্প্রদায় নানা অলৌকিক ব্যাপারের স্বষ্টি করিয়াছিল, আমরা সেই সকলেই হস্তক্ষেপ করিতেছি ; কেহ যদি এরূপ মনে করেন, আমরা তাহাকে নিবারণ করিতে চাই না। প্রথমেই স্বীকার করা ভাল । অৰ্দ্ধ সত্য, অৰ্দ্ধ অসত্য বলাতে লাভ কি ? অতএব শোন, এখন হইতে, এখন হইতেই বা কেন, বহুদিন হইতে অলৌকিক ব্যাপার, সাধারণের অতীত ব্যাপার ও পরমাশ্চৰ্য্য ঘটনা সকল সংঘটন করিতে, ব্ৰহ্মমন্দিরের ধৰ্ম্ম হস্তক্ষেপণ করিয়াছেন। তবে যদি জিজ্ঞাস কর, তোমরা কি স্থৰ্য্যকে আকাশে গতিহীন করিতে চাও? মৃত, প্রোথিত শবকে তোমরা কি পুনর্জীবন দিতে চাও? তাহা আমরা চাই না। অথচ বিস্ময়কর মত ও অলৌকিক সত্য ব্যতীত ধৰ্ম্ম যে থাকিতে পারেন না, আমাদিগের নিশ্চয় পরিষ্কার বিশ্বাস ইহাই । যাহ। প্রকৃতির অতীত, অস্বাভাবিক যাহা, তাহ আমরা মানি না ; ঈশ্বরকে আমরা স্বভাব-সম্পন্ন বলিয়া থাকি ; তিনি আপনার ভাবে আপনি পূর্ণ। স্বভাবের ঈশ্বর স্বভাবের পতি। ধৰ্ম্মের প্রকৃতি কোন নৈতিক প্রকৃতিকে চূর্ণ করিয়া,