পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলৌকিকতা । Vハ○ ঈশ্বর অভ্রান্ত-স্বরে সুনিৰ্ম্মল সত্য সকল স্থাপন করিতেছেন। ঐ যে মনের ভিতরকার আশ্চৰ্য্য শব্দ, তাহাকে কি আপনার সামান্ত ভাব মনে কর? তা নয়, তা নয়। ঈশ্বর কথা কহিয়া থাকেন, তারই ঐ শব্দ, ঐ শব্দের অনুসরণ কর; হৃদয়ের সাধারণ বিবেকের শব্দ অনুসরণ করিতে করিতে, হৃদয় রোজ রোজ পরিষ্কার হইতে হইতে এমনই হইবে যে, যে কোন ঘটনা ঘটবে, তারই মধ্যে অনায়াসে ঈশ্বরের আদেশ বুঝিতে পারিবে। যারা এ কথা পরীক্ষা করিয়া বুঝিল না, তারা বলিল, এ ব্যক্তিরা আকাশে ঈশ্বরমূৰ্ত্তির আবির্ভাব দেখিয়া তাহার শব্দ শোনে। এইরূপে তাহারা অন্যায় উক্তি করে। এই যে মানুষের প্রকৃতি, ইহারও মধ্যে প্রকৃতির ঈশ্বর বৰ্ত্তমান। যার চক্ষু অবিশ্বাসী, সে তাহ দেখিল না, কিন্তু বিশ্বাসী তাহা দেখিলেন। এই যে সকল সামান্ত প্রচারক, কাল যারা জাল দিয়া মৎস্ত ধরিত, সেই ধীবরেরা, মাল্লারা কি ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে পারিবে ? তার ভিতরে বিশ্বাসী কি দেখিলেন, আর বলিলেন যে, মৎস্ত ধরা রাখ। তিনি জানেন যে, বাহিরের ধীবরের ভিতরে আর এক ধীবর আছেন। তিনি বলিলেন, আর তাহারা ছাড়িয়া চলিল। মাল্লা, ধীবর, স্বত্রধর প্রভৃতি সামান্ত লোকদিগের হইল কি ? যেন এক এক জন দেবত হইল, স্বভাব হইয়া গেল স্বর্গ, মানুষ হইয়া গেল দেবতা। এর চেয়ে অলৌকিক আর কি হইতে পারে? পৃথিবী পার্থিব ভাবকে জয় করিয়া দেবলোক হইল। আমরা কি অলৌকিকত্ব মানি, শবকে জীবন দানের জন্ত ? কি অগ্নিতে দেহ পোড়ে না দেখিয়া ? না, কখনই না। সত্যের আলোক যখন জলিয়া উঠিল, যেখানে গেল, সেই খানেই যেন সহস্ৰ সহস্র লোক আশ্চৰ্য্য ভাবাপন্ন হইল, মৃত মানুষ যেন জাগিয়া উঠিল। মুস, খ্ৰীচৈতন্য, শাক্য প্রভৃতি ভাবের ভিতরে যেন স্বৰ্গ হইতে অবতীর্ণ