পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবন । * বুধবার, প্রাতঃকাল, ১৪ই মাঘ, ১৮১৯ শক ; ২৬শে জানুয়ারি, ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দ । ধৰ্ম্মজীবন দুই জাতীয়। এক প্রকার ধৰ্ম্মজীবনের পরিচয় দেওয়া কঠিন হইলেও প্রকাশ করা যায় ; আর এক প্রকার ধৰ্ম্মজীবন বলিয়৷ প্রকাশ করা যায় না, বলিতে গেলে মুখ বন্ধ হয়, ভিতর হইতে নিষেধ শুনা যায়। আমাদের ধৰ্ম্মজীবন প্রথমজাতীয়, না দ্বিতীয় প্রকারের ? আমাদের ভাব অপেক্ষা কথা বড়, না কথা হইতে ভাব প্রবলতর ? আমাদের সঞ্চয় অপেক্ষা ব্যয় অধিক, না ব্যয় করিয়াও সঞ্চিত ধনের কিছু অবশিষ্ট থাকে? সমাগত বন্ধুগণ, কোন প্রকারের ধৰ্ম্মজীবন অবলম্বন করিয়াছ, আজ তাহার আলোচনা কর । সৰ্ব্বদাই দেখা যায়, আমাদের জীরনের অবস্থা এমনি যে, যাহা করি তাহাতে আমাদের ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম স্থির থাকে না । যাহা বলি, তাহা এত . অধিক বলা হয় যে, অন্তর তাহাতে বল দেয় না । হৃদয়ে সঞ্চিত ভাব অপেক্ষ অধিক কথা বলিতে গেলেই অসার কথা, ভাবশূন্ত কথা বাহির হইতে থাকে। এই প্রকার জীবন দুদিনের জন্ত। শ্রাবণের বর্ষ কোন নদীকে আকুল পূর্ণ করে না ? কেবল নদী কেন, কোন পুষ্করিণী ও ছোট ছোট ডোবা পৰ্য্যন্ত পূর্ণ কলেবর ধারণ করে না ? কিন্তু যাই ভাদ্র অশ্বিনের প্রখর তেজোময় সূৰ্য্য দেখা দেয়, অমনি ১৫ দিনের মধ্যে সেই উচ্ছলিততীর পূর্ণায়ত নদী অস্থিচৰ্ম্মসার হয় ; পুষ্করিণী, ডোবার অস্তিত্বও থাকে না । এই প্রকার ^^^^^^^^^AyN/^./"N/^^^^ گمیمی

  • ৩নং রমানাথ মজুমদারের ষ্ট্রীটে সমস্তদিনব্যাপী উৎসবে প্রদত্ত ।