পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবন । . 3 মহোৎসব কালে পরমেশ্বরের কুপাতে আমাদের মন আকুল পূর্ণ হইয়াছে। আজ হৃদয় পূর্ণ উৎসাহ, কত ভাবের আবেশ, কত প্রেমের উচ্ছাস, সেবার জন্ত আজ হস্ত কতই আগ্রহ প্রকাশ করিতেছে! ঈশ্বরের করুণাস্রোতে ভাসিতে ভাসিতে আজ সকলে স্বৰ্গরাজ্যের নিকটে এসেছ । এই একার অবস্থা তো কতবার হইয়াছে। কিন্তু বেই উৎসব ফুরাহয়া যায়, উড্ডীয়মান নিশান তুলিয়া রাখা হয়, বাদ্যভাণ্ড, উৎসবের বাহ আড়ম্বর ফুরাইয়া যায়, অমনি হৃদয়সরোবর শুষ্ক হইতে থাকে, এত যে উৎসাহ এবং ভাবভক্তির আতিশয্য, এত যে বক্তৃতা ও কীৰ্ত্তনের মত্ততা, এত যে আত্মত্যাগ ও আত্মনিগ্রহের আকাজক্ষা, সকলই কোথায় চলিয়া যায়। ব্রাহ্ম পৌষমাসে যেমন ছিলেন, ফান্তুনেও সেই আকার ধারণ করিলেন । ইহাদের অন্তরের উৎসাহ উদ্যম, ভাব, ভক্তি সকলই অপহরণ করিয়া কে যেন অন্তৰ্হিত হইল। বাহির যেমন শূন্ত হইল, অন্তরও তেমনি শূন্তাকার । হু দশ দিনের কথা বলা হইতেছে না, চিরকাল যাহা হইয়া আসিয়াছে তাহাই বলা হইতেছে । জীবনের এই দুরবস্থা দূর করিবার উপায় কি ? ধৰ্ম্মরত্ব জীবনে কিরূপে সঞ্চয় করিবে একবার চিন্তা কর। এই লৌকিক ও আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্মের সামঞ্জস্য ও পরিণতি কোথায় একবার অন্বেষণ কর। যদি গত উৎসবের পর সমস্ত বৎসরের সাধনে অন্তরে এমন ভাব জ্ঞান সঞ্চিত না হইয়া থাকে, যাহার প্রভাবে আবার এই উৎসবক্ষেত্রে পহুছিতে পার, যদি হৃদয়-উষ্ঠানে এমন প্রেম ভক্তির ফুল না ফুটিয়া থাকে, যাহা দ্বারা এই উৎসববেদীকে সাজাইতে পার, যদি এমন ধৰ্ম্ম না পাইয়া থাক, যাহা হাটে বাজারে দেখাইলেও মলিন হয় না, যাহার প্রভাব কমে না, যাহার শক্তিতে সমস্ত জগৎ আকৃষ্ট হয়, এমন নীরব ধৰ্ম্মমূৰ্ত্তি যদি তোমার আকারে মূৰ্ত্তিমান না