১০ উপদেশ । হইয়া থাকে, তবে আর কি হইল ? এই অবস্থা যদি না হয়, তোমার ধৰ্ম্ম কিছুই নহে। সমস্ত বৎসর নীরবে, নির্জনে প্রাণসখার প্রেমরস আত্মস্থ করিয়া যদি বলবান না হইয়া থাক, তবে আজ চীৎকার করিয়া কি ফল লাভ করিবে ? - - ঈশার জীবন ও ধৰ্ম্ম যাহারা অধ্যয়ন করিয়াছেন, তাহারা জানিতে পারিয়াছেন, সেই জীবনের গৌরব নিস্তব্ধতা । বহু সঞ্চয়ের অল্পমাত্র ব্যয়, বহু শক্তির অল্পমাত্র প্রকাশ ঈশার জীবন। বাক্যের আড়ম্বর নাই, ভাবের আতিশয্য নাই, নিরীহ মেষশাবক আত্মরক্ষার্থ দুটী কথা বলিতেও সঙ্কুচিত। ঈশ৷ যদি পিলাতের বিচারাসনের সম্মুখে একট কথাও বলিতেন, হয়ত র্তাহার প্রাণ বিনাশ হইত না । তিনি যদি ফেরোসীদিগের নিকটে আপনার কথা ব্যক্ত করিতেন, তবে হয়ত তাহার প্রতি সেই নিদারুণ অত্যাচার হইত না । তিনি কোন কথা কহিলেন না। কথা কহিলেন না বলিয়া আরও সকলে অধিকতর বিরোধী হইল। অধিক অত্যাচার করিল। জীবনান্ত হইল, তথাপি ংগোপন ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিলেন না। উত্যক্ত হইলেন না, আত্মহার হইলেন না । আর আমরা কি করি ? একটী নিন্দ অপমানের কথা শুনিলে অস্থির হই। সংবাদকাগজে কেহ নিন্দ করিয়াছে শুনিতে পাইলে রাগে ফু চার দিন উপাসনা করিতে পারি না । অন্তরে সঞ্চিত ধৰ্ম্ম, সঙ্গোপন ধৰ্ম্ম এই নহে। ধৰ্ম্মের প্রভাবে যদি নিন্দ ও অত্যাচারের অতীত হইতে না পার, তবে ধৰ্ম্মবল কি ? কতকগুলি লোক আছে, তাহারা সদাই নীরব নিস্তব্ধ, তাহাদের জীবনে কোন প্রকার উৎসাহ উদ্যম নাই, অস্তরে কোন প্রকার চিন্তাও নাই। অসার বাক্যাড়ম্বরপূর্ণ জীবন হইতে ইহাও বরং ভাল, কিন্তু এই প্রকার মৃতপ্রায় জীবনের কথা আমি বলিতেছি