পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবন। ১৩ বিশ্বাসী বিশ্বময় ব্রহ্ম আবির্ভাব দেখিয়া গভীর চিন্তাতে আত্মহারা হন ; আর অবিশ্বাসী সকলই শূন্ত দেখিয়া হাহাকার করিতেছে। আমাদের জীবন এই দুর্দশা হইতে মুক্ত হইয়াছে কি না পরীক্ষা কর। এই রোগের ঔষধ আর কি আছে ? ঈশ্বরকে সাক্ষী করিয়া সমস্ত মণ্ডলীর নিকট নিস্তব্ধ হও ; বাক্য সংবরণ কর, প্রাণে প্রাণময়কে দেখিয়া অনন্তে নিমগ্ন হও । - ঈশাকে সুরাপায়ী ও নারীগণের সংসর্গপ্রিয় বলিত। আমাদের আচাৰ্য্যকে অনেকে ধনলোলুপ ও বিলাসী মনে করিত। তোমাদিগকেও এইরূপ বলুক তাহাতে ক্ষতি নাই, তথাপি আত্মসঙ্গোপন কর । কুলবধূগণ যখন কোন পরপুরুষকে দর্শন করে, তখন ষেমন লজ্জায় অবগুণ্ঠনবতী হইয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করে, তেমনি এই ব্ৰহ্মাশ্রিত লজ্জাশীল আত্মা যতই লোকনিন্দ শুনিবে, যতই লোকে তাহার অন্তরের কথা টানিয়া বাহির করিতে চাহিবে, ততই সঙ্কুচিত হইয়া অনন্তের আঁধারে আত্মার গভীরতম প্রদেশে লুক্কায়িত হইবে। যতই তুমি নিস্তব্ধ হইবে ততই তোমার বৃদ্ধি, আর যতই তুমি চিৎকার করিবে ততই তুমি অন্তঃসারশূন্ত হইবে । y - ঈশ আত্মগোপন করিলেন বলিয়া লোকে তাহাকে চোর, ডাকাত বলিয়া চোর ও ডাকাতের সঙ্গে বদ্ধ করিয়া সংহার করিল। আত্মসঙ্গোপনের এত দগু, তথাপি তোমাদিগকে এই মন্ত্র গ্রহণ করিতে বলিতেছি ; নতুবা কিছু থাকিবে না। তোমার কিছু সঞ্চয় হইবে মা, তোমার যাহা আছে, যদি হাটে বাজারে প্রকাশ কর, সংবাদকাগজে লিখিয়া প্রচার কর, তবে জানিও তোমার আর কিছু রহিল না । হে ব্রাহ্ম, হে ব্রাক্ষিকাগণ, চরিত্রসম্বন্ধে অনেক কথা বলিয়াছি। এক্ষণ