পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজানিতের প্রভাব । ९6 এই জন্ত আমরা বলি, বিশ্বাস শ্রেষ্ঠ, জ্ঞান নিকৃষ্ট। যদি বল জ্ঞানের ছায় এমন সৰ্ব্বপ্রকাশক আর কি আছে? জ্ঞানবিরহিত যে বিশ্বাস তাহা আর কি মূল্যবান ? অন্ধ বিশ্বাস নামে যাহা অভিহিত, তাহাও কি শ্রেষ্ঠ ? ন, তাহা নহে। জ্ঞানবিহীন বিশ্বাসের পক্ষপাতী হইতেছি না। কিন্তু ইহা বলিতেছি যে, বিশ্বাসশ্বন্ত যে জ্ঞান তাহ নিতান্ত অসার। ইহা কেবল বিচারে সুপটু ; কিন্তু কোন গভীর তত্ত্ব লাভে সমর্থ নহে। কেবল ধৰ্ম্মজীবনে কেন, যে কোন কাৰ্য্যে বিশ্বাসকে সম্বল না করিলে কৃতাৰ্থত অসম্ভব। অজানিত জানিত হন কেবল বিশ্বাসের শক্তিতে। অদৃষ্ঠ দৃপ্তমান হন বিশ্বাস সহকারে ব্ৰতচৰ্য্যা সমাপ্ত করিতে সক্ষম একদিন এমন ছিল, এই পৃথিবীর চন্দ্র স্বৰ্য্যই কেবল দেখিতাম, আকাশের ঘন নীলিমাই দর্শনের বিষয় ছিল, এমনও দিন দিন জলের শৈত্য ভিন্ন অন্ত কিছু জানিতাম না, এমনও দিন ছিল, আগুনের উত্তাপ ভিন্ন আরকিছু বুঝিতাম না। এই প্রকাও স্বষ্টিব্যাপার মধ্যে স্বভাবের নিয়মে অতি সহজে কোন কোন বস্তুর কোন গুণমাত্র প্রত্যক্ষীভূত করিয়া এক সময়ে মানুষ নিরস্ত হইত ; কিন্তু এখন আর সে দিন নাই। যেমন জও ভাঙ্গিয়া পক্ষিশাবক বাহির হইয়া পড়ে, তেমনি এই প্রকাও স্বষ্টি অণ্ড ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। এবং এই ভগ্ন স্থানে মহা কীৰ্ত্তিশালী ভগবানের যত ঐশ্বৰ্য্য ও বিভূতি প্রকাশিত হইয়া পড়িয়াছে। সেই সবিতার প্রকাও মুখগহবর ভেদ করিয়া অসংখ্য অজানিত বিষয় প্রকাশিত হইয়৷ পড়িয়াছে। এইক্ষণে চন্দ্র স্বর্য তারকা সেই মহাজ্যোতিৰ্ম্ময়ের অণ্ড । আকাশের নীলিমার মধ্যে ব্ৰহ্মাণ্ডপতির সৌরভমণ্ডিত সিংহাসন। জলে স্থলে ফুলে ফলে তাহারই মহাপ্রকাশ। বিহঙ্গগণের কণ্ঠরবে তাহারই చి