পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিঙ্গন দান করিয়া সুখী হই। এই চতুর্দশ বৎসর বনবাস করিয়া কি আমরা মরিয়াছি ? আমরা কি উপযুক্ত আহার না পাইয়া দুৰ্ব্বল হইয়াছি? আমরা কি পিতৃসত্য, পিতার আজ্ঞা পালন করিতে যাইয়। ঠকিয়াছি? কখনও না। যদি এই চতুর্দশ বৎসর বনে বনে ভ্রমণ না করিতাম, তবে পরম পিতাকে কোথায় পাইতাম ? বিবিধ অবস্থার মধ্যে তিনি ষে আত্মপরিচয় দিলেন, তাহা আমরা কিরূপে পাইতাম? এই চতুর্দশ বৎসর অধ্যাত্ম-থনি হইতে অজানিত আপনাকে বাহির করিয়া:আমাদের মস্তকের মণিরূপে স্থিতি করিলেন ; কত শিখাইলেন, কত বুঝাইলেন । এই সুদীর্ঘকালে আমাদের মধ্যে যাহার কিছু শিক্ষা হয় নাই, তাহার আর কোন দিন কিছু হইবে না । : । হে বন্ধুগণ, এই অজানিত হইতে আজ কি আশীৰ্ব্বাদ আসিবে আমি ভাবি নাই। এই উৎসবে মিলন হইলে কি হইবে আমি তাহ ভাবি নাই। আজ এই পরের বাড়ীতে আসিলে কি পরমার্থ লাভ হইবে তাহাও ভাবি নাই । কেবল এই জানি যে, অজানিতের অঞ্চল আমাকে ধরিয়াছে। সেই অজানিতের জ্যোতি আমার হৃদয়ে পড়িয়াছে। সেই অজানিতের শক্তি আমাকে সবলে এখানে পছছাইয়া দিয়াছে। অজানিত আমার গুরু ও নেতা। জানি না তাহার মনে কি ছিল। ইহাও জানি না, তাহার মনে আরও কত আছে। এই অদ্যকার উপাসনাতে এত তিনি আত্মপরিচয় দিবেন তাহা আমি জানিতাম না। : অতএব বলি, যদি পবিত্ৰাত্মার হস্ত দৃঢ় বলিয়া জান, তবে কিছু ভয় করিও না। তিনদিনে যিনি সলিমানের পাপ অহঙ্কারপূর্ণ মন্দির বিচুর্ণ করিয়া ঈশার পবিত্র ধৰ্ম্মমন্দির প্রতিষ্ঠিত করিলেন, র্তাহার অসাধ্য কিছু নাই। আমাদের মন্দির থাকুক আর নাই থাকুক, পিতার স্নেহবক্ষ হইতে