পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ উপদেশ । ঈশ মুষার জীবনের আদর্শ ক্ষুদ্র ছিল না। আমাদের আর্য যোগী ঋষিগণের আদর্শ ছোট ছিল না। মহামতি শাক্য এমনি মহান আদর্শের ছায়াতে জীবন গঠন করিলেন যে, তাহার প্রভাবে ধনসম্পদ বিশাল রাজ্য সামান্ত তৃণের মত র্তাহার চক্ষুর সম্মুখ হইতে উড়িয়া গেল। বর্তমান সাধারণ হইতে পারে, ভবিষ্যৎ কখনও সাধারণ নহে। যাহা হইয়াছে তাহা সাধারণ হইতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতে যাহা হইবে তাহ নিশ্চয়ই অসাধারণ। কারণ আমরা অসাধারণের ভক্ত, অসাধারণ ঈশ্বর আমাদের উপাস্ত দেবতা এবং অসাধারণ আমাদের লক্ষ্য। অতএব, ব্রাহ্মগণ, ধৰ্ম্মকে খাট করিও না, বিশ্বাসকে সঙ্কীর্ণ করিও না ; বড় ধৰ্ম্ম গ্রহণ কর ; বক্ষকে অসাধারণ আশাতে স্ফীত কর ; এক অসাধারণ উৎসাহ ও ভক্তিতে অসাধারণ ঈশ্বরের পূজা করিয়া ধন্ত হও । আচ্ছ এখন বল, পরমেশ্বর অসাধারণ কিসে? শক্তিতে তিনি অসাধারণ। এই যত কিছু সমস্তই তাহার শক্তি। শক্তিকে মান্ত না করে এমন কেহই নাই। কোন নাস্তিক আছে যে শক্তি মানে না ? জগতে কি শক্তির ইয়ত্ত আছে ? বজের শক্তি মানিবে না ? বৈশাখের রৌদ্রের শক্তি মানিবে না ? ভান্দ্রের বস্তার শক্তি মানিবে না ? যে মহাজনগণ বালকের ন্তায় এই পৃথিবীকে এদিক ওদিক করিলেন, । পর্তাহাদের অসাধারণ শক্তি কি মানিতে চাও না ? এই মানুষ একটী ক্ষুদ্র । স্থচের আঘাতে মরিতে পারে, কিন্তু এই মানুষের শক্তি কত একবার চিন্তা কর। মানুষ আকাশের বিদ্যুৎকে ধরিয়া আপনার ঘরের প্রদীপ করে, নিজের আয়ত্তাধীনের মত যথা ইচ্ছা ব্যবহার করে। মানুষ সমুদ্রের মধ্য দিয়া, গভীর জঙ্গল ভেদ করিয়া, উন্নত পৰ্ব্বতশিখর উল্লঙ্ঘন করিয়া নিজ সুবিধার্থ সোজা পথ প্রস্তুত করে। নানাপ্রকারে মানুষের