পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ტჭ উপদেশ । লইয়া ঘর্ষণ কর, তাহা হইতে তাত উৎপন্ন হইবে, আরও ঘর্ষণ কর, তাহা হইতে এত আগুণ উৎপন্ন হইবে, যাহা দ্বারা এই কলিকাতা দগ্ধ হইয়া আর এক মূৰ্ত্তি ধরিতে পারে। আরও যদি চেষ্টা কর, ইহা হইতে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হইবে, যাহার প্রভাব ও শক্তি অতি বিস্ময়কর কার্য্য সম্পাদন করিতেছে। তেমনি ছুটী লোক একত্র হইয়া ধৰ্ম্মের আলোচনা কর, পরস্পরে পরলোক চিন্তার সহায় হও। স্বার্থের দড়ি কাটিয়া দিয়া পরমার্থের নামে জীবন উৎসর্গ কর, তবেই দেখিতে পাইবে অসম্ভব সম্ভব হয়েছে, অশক্তি মহাশক্তি প্রকাশ করিতেছে। পরমার্থের চক্র জীবনে সংযুক্ত করিলেই জীবন আপনা আপনি স্বৰ্গধামে চলিয়া যাইবে । আমি বলিতেছি, শক্তি দ্বারা জড়ও চেতন হয়। তোমরা বলিতে পার, এই লোকটী এত বাড়াবাড়ি করিতেছে কেন ? কিন্তু তাহা নহে। আমি ইহা সপ্রমাণ করিতেছি । আমি একাকী এই নগরের পথে বেড়াইতাম, আপন ভাবে আপনি কত ভাবিতাম, তোমরা তাহ কিছু জানিতে না । উৎসব আসিল, কি হইবে, কি করিব কিছুই বুঝিতে পারি নাই। কিন্তু এমনিই কি এক শক্তি কোথা হইতে আসিয়া আমাকে সচেতন করিয়া দল যে, তাহাতে আমি তোমাদের সঙ্গে উৎসবে মাতিয়া গেলাম । ইহাতে কি ফল ফলিৰে ভাবিলাম না। অজানিতের হস্ত ধরিয়া তোমাদের কাছে আসিয়া পহুছিলাম। আমার ছেড়া নেকড়ার পুট্টলী তোমাদের সমক্ষে আনিয়া রাখিলাম। ইহাতে কি হইল তাহা তোমরা কিছু কিছু বুঝিয়া থাকিবে । বল ইহা জড়ে চৈতন্য কি না? এক গৌরাঙ্গ সঙ্কীৰ্ত্তন করিয়া দেশ মাতাইলেন। সেই শব্দে চট্টগ্রাম হইতে আরম্ভ করিয়া সমস্ত ভারত উন্মত্ত হইল। একা শাক্য মহেন্দ্রকে সঙ্গে করিয়া হিমালয় হইতে সিংহল পর্য্যন্ত ভারতকে মাতাই