পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবৰ্ত্তবাদ ও পরিণামবাদ । \ఫి পৃথিবীতে তিন প্রকার উন্নতি দেখা যায়। প্রথম প্রকার উন্নতি স্বভাবশক্তির ঘাতপ্রতিঘাত জনিত। এই উন্নতির ক্রম অনন্ত উন্নতির অন্তর্গত নহে। যেমন পৰ্ব্বত, সাগর, নদ, নদী । দ্বিতীয় প্রকার উন্নতি স্বভাবের সীমাবদ্ধ উন্মেষ। ইহার ক্রমও অনন্ত উন্নতির অন্তর্নিবিষ্ট নহে, যথা পশু পক্ষী প্রভৃতি যাবতীয় ইতর প্রাণী। গো-বৎস দিন দিন বড় হয় বটে, কিন্তু এমন অবস্থায় তাহাকে যাইতে হয়, যখন আর তাহার উন্নতি হয় না। অণ্ড ভাঙ্গিয়া যখন পাখী বাহির হয়, তখন তাহার গান করিবার শক্তি থাকে না । ক্রমে তাহার পাখা দৃঢ় হয়, আকাশে বিচরণ করিয়া সঙ্গীত করিতে পারে ; কিন্তু ইহাদের এই সীমাবদ্ধ উন্নতির ভিতরে কোন বৈচিত্র্য নাই । ইহার জাতীয় পাখীদের যেমন পাখা, যেমন চলাফির, যেমন সঙ্গীত, ইহার তাহাই হয়। কোকিলের গান কখনও অন্য রকম হয় না। স্বৰ্গীয় হোম পাখী কখনও আপন পাখী পরিবর্তন করে না। অর্থাৎ পশু পক্ষীদিগের উন্নতি চিরকাল যাহা ও যেমন হইয়াছে তাহার অতিরিক্ত কিছু হয় না। তৃতীয় প্রকার উন্নতি অনন্ত উন্নতিশীল। স্বভাবের পূর্ণ বিকাশময় মানবাত্মাই এই উন্নতির অধিকারী। আত্মার উন্নতি অতি বিচিত্র । ইহাতে এত পরিবর্তন এবং উন্নতি দেখা যায়, যাহা মানুষের ভাবনা ও সাধারণ ধারণার অতীত। প্রত্যেক জীবনে ইহার ক্রম নুতন, সম্ভাবন নূতন, সিদ্ধি নূতন। মানবজগতের ইতিহাস ইহা সপ্রমাণ করিতেছে। কিন্তু কতকগুলি কেন, অধিকাংশ মনুষ্যের ভিতর দেখা যায়, তাহার একবার যে উন্নতি লাভ করে তাহা আর উৰ্দ্ধমুখী হয় না, বরং ক্রমে ক্রমে অধঃপতিত হইয়া যায়। এই সমস্ত দেখিয়া অনেকে এই সিদ্ধান্তেও উপনীত হন, মানুষের ভিতরে নিত্য পরিবর্তন ও অনন্ত উন্নতির যে মত