পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সত্যধৰ্ম্ম। : রবিবার, ২৭শে আষাঢ়, ১৭৯১ শক ; ১০ই জুলাই, ১৮৭০ খৃষ্টাব্দ । সত্য সরল বস্তু, সহজ বস্তু, স্বাভাবিক বস্তু—সত্যের ন্যায় স্বাভাবিক । বস্তু পৃথিবীতে আর কিছুই দৃষ্ট হয় না। আর মিথ্যা যেমন কুটিল, বক্র এবং অস্বাভাবিক, এমন আর কিছু জগতে দৃষ্ট হয় না। শিশু সন্তান যখন বিষয়-বাসন কুভাব অন্তরে ধারণ করে নাই, তখন সে সত্যের বলে সত্যের মধ্যে জীবন যাপন করে। সত্য যেমন সরল, সত্যধৰ্ম্মও তেমনি সরল, তেমনি স্বাভাবিক। যে ধৰ্ম্ম কেবল মনুষ্যের বুদ্ধি তৰ্কমাত্রের উপর নির্ভর করে, সে ধৰ্ম্ম যেমন কুটিল, অস্বাভাবিক, এমন আর কিছুই নহে। ধৰ্ম্মের মধ্যে যে যে ভাব সরল, সত্য, সেগুলি যেমন সকল লোকের পক্ষে সহজ, তেমন আর কোন ভাব নহে ; যে গুলি স্বকপোল-কল্পিত, সে গুলি বুদ্ধির অগম্য। সত্য ধৰ্ম্ম অতি সহজ বিষয় লইয়া উপদেশ দান করেন। সত্যের শাখা প্রশাখা এত প্রশস্ত যে, তাহাকে সৰ্ব্বব্যাপী বলিলেও হানি হয় না। আমাদিগের এই ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে সত্যধৰ্ম্ম বলিয়া থাকি। এই জন্য ব্রাহ্মধৰ্ম্ম অতি সহজ ভাব লইয়া আমাদিগের সম্মুখে আসেন। অতি কঠিন তর্ক যুক্তির মধ্য দিয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মের দ্বারে গমন করিতে হয় না ; পণ্ডিতদিগের নিকটেও গমন করিবার আবশ্যক নাই। দুইটি কথা ঈশ্বরের পিতৃত্ব এবং মনুষ্যের ভ্রাতৃত্ব, এই দুইটি কথা লইয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্ম জীবের অনন্ত উন্নতি সাধন করেন। মনুষ্যের অন্তরে যে সকল সত্য নিহিত আছে, সে সমুদয় ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সত্য। সেই সত্য একখানি পুস্তকে ও এক জাতিতে পরিবদ্ধ নহে। সমুদয় কাল, সমুদয় লোক মধ্যে সেই ঈশ্বরের