পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মমণ্ডলী । ৪৯ এই মণ্ডলী পৃথিবীর সমস্ত ধৰ্ম্মমণ্ডলী অপেক্ষ বলবান হইবে, ইহাতে কিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই । খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের চার্চ শব্দ আমাদের মণ্ডলী শব্দের নামান্তর মাত্র। তাহারা এই চার্চকে কখনও ঈশ্বরের শরীর বলেন, কখনও বলেন চার্চ ঈশ্বরের বিবাহিত পত্নী, কখনও বলেন চার্চ ঈশ্বরের আবাস গৃহ, কখনও বলেন ইহা আত্মাসকলের বাসভূমি। ইহার প্রত্যেক কথাই সত্য। কারণ মণ্ডলী ও ঈশ্বরের মণ্ডলীতে কোন তফাৎ নাই । ঈশ্বর তাহার এই মণ্ডলীর সঙ্গে সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রেমসম্বন্ধ যাহাতে বুঝায় সই প্রকার সম্বন্ধে সম্বদ্ধ এবং ধৰ্ম্মমণ্ডলীরূপ সুখদ গৃহেই যে আত্মা সকল বাস করেন, ইহাতেও আর কোন সন্দেহ নাই । আবার প্রত্যেক ধৰ্ম্মমণ্ডলী এক একজন মহাত্মার আকার, এবং এই মহাত্মাদিগের ধৰ্ম্মের অবয়ব লইয়া আত্মা সকলের অবয়ব গঠিত হয়। যাবতীয় ধৰ্ম্মমণ্ডলীর ইতিবৃত্ত পাঠ করিলে আমরা দেখিতে পাই, এক একজন মহাত্মার জীবনের সমস্ত শক্তি, যত্ন, আগ্রহ, উৎসাহ, কাৰ্য্য মণ্ডলীর রক্ত মাংস হইয়া উহাকে আকার দান করা হইয়াছে । శాఖీ অতএব প্রথম কথা এই যে, র্যাহারা এখানে আসিয়া এক মণ্ডলীরূপে পরিণত হইতেছেন, তাহারা প্রাণে প্রাণে, হৃদয়ে হৃদয়ে, বাক্যে ও কার্য্যে এক হইয়া যাইবেন, এবং এই মণ্ডলী ঈশ্বরের সঙ্গে সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রিয়তম সম্বন্ধে সম্বদ্ধ, ইহা বিশ্বাস করিবেন ; অপিচ এই মণ্ডলীর অবয়বের ভিত্তি কোন একজন মহাপুরুষের সমস্ত জীবনের পরিণতির উপর সংস্থাপিত দেখিতে পাইবেন। তৎপরে কথা এই যে, প্রত্যেক ধৰ্ম্মমণ্ডলীর ভজনালয় আছে। খ্ৰীষ্টানদিগের চার্চ, মুসলমানদিগের মসজিদ, ব্রাহ্মদিগের মন্দির আছে।